স্বামী প্রবাসে যাওয়ার ৩ বছর পর পুত্র সন্তান জন্ম দিলেন স্ত্রী

স্বামী প্রবাসে যাওয়ার ৩ বছর পর পুত্র সন্তান জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী শাহানাজ খাতুন। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামে। প্রবাসীর স্ত্রী শাহানাজ দাবী করেছেন পুত্র সন্তানের বাবা আলমডাঙ্গা পশুহাটের স্বর্ণা মেডিসিন কর্ণারের মালিক কালিদাসপুর গ্রামের চাকুরিচ্যুত বিজিবি সদস্য আব্দুল কাদের সবুজ। ২৯ মে বৃস্পতিবার দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রী পুত্র সন্তার প্রসাব করলে তা মূহূর্তের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
শাহানাজ খাতুন(২০) আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী বাগানপাড়ার শাহ আলমের মেয়ে। প্রায় ৩ বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের মৃত আইজাল হোসেনের ছেলে প্রবাসী কালুর সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর কালু মালয়েশিয়া চলে যায়।
জানাযায়, কালু প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে শাহানাজ নিজের ইচ্ছা মত চলা ফেরা করতে শুরু করে। আলমডাঙ্গা পশুহাটের স্বর্ণা মেডিসিন কর্ণারের মালিক কালিদাসপুর গ্রামের ঝড়োর ছেলে চাকুরিচ্যুত বিজিবি সদস্য আব্দুল কাদের সবুজ। বিডিআর বিদ্রæহে তার চাকুরী চলে যায়। সবুজ চাকুরী চলে যাওয়ার পর শুরু করে ফার্মেসী ব্যবসা।
নবজাতক শিশুটির মা শাহানাজ খাতুন জানান, কালু প্রবাসে চলে যাওয়ার বছর খানে পর পরিচয় হয় উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের ঝড়োর ছেলে আব্দুল কাদের সবুজের সাথে। সবুজ আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার লালব্রিজ সড়কের পশুহাটে স্বর্ণা মেডিসিন কর্ণার নামক প্রতিষ্ঠান দিয়ে ওষুধের ব্যবসা করে। তার সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে তারা ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে। একপর্যায়ে সবুজ গত ১ বছর আগে তাকে বিয়ে করেছে বলেও নবজাতক শিশুটির মা দাবী করে।
তিনি আরও জানান, তার গর্ভবতি হওয়া বিষয়টিও সবুজ জানে। সবুজ তাকে বলে আমার স্ত্রী তালাক হয়ে গেছে। ২৯ মে নবজাতক শিশুটির মাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরই তার সাথে কথা হয়েছে। শিশুটি জন্মগ্রহন করার পর থেকে সবুজ অস্বীকার করতে শুরু করেছে। এখন আর সবুজ কল রিসিভ করছে না। করলেও অন্য কেই পরিচয় দিচ্ছে।
নবজাতক শিশুটির মা শাহানাজ আরও জানান, সবুজ আমাকে বিয়ের করেছে। এই ছেলে পিতা সবুজ। সে তাকে পশুহাটের ওষুধের দোকান থেকে কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ে করেছে। নবজাতক শিশুকে নিয়ে তিনি পড়েছেন অথৈ সাগরে। কি করবেন কিছু বুঝতে পারছেন না। সে তার স্বামী ও তার পুত্র সন্তানের পিতার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শাহানাজের পিতা ও শ^শুড় বাড়ির প্রবেশিরা জানান, কালু বিদেশ যাওয়ার পর সে তার ইচ্ছা মত চলাফেরা করতে শুরু করে। ২৯ মে দুপুরে আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে সে পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। শুক্রবার বাড়ি আসতে চাইলে এলাকাবাসির রোষানলে পড়ার ভয়ে বাড়ি আসেনি।
হারদী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, কালু প্রায় ৩ বছর আগে বিদেশ গিয়েছে। তার স্ত্রী গত ২৯ মে আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছে।
হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর স্বজনরা জানান, ২৯ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে তার বোন হাসপাতালে নিয়ে আসে। পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই সে তাকে রেখে চলে যায়। নবজাতক শিশুকে নিয়ে সে একাই হাসপাতালে রয়েছে। অন্যান্য রোগীর পোশাক ও খাবার খেয়ে দিনপার করছে নবজাতক শিশু ও তার মা।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান পিপিএম জানান, এ ঘটনা শুনেছি। কেউ কোন অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।