আলমডাঙ্গায় শিক্ষক-ছাত্র ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গুঞ্জন, তদন্তে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

আলমডাঙ্গা আলিম মাদ্রাসার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক নারী প্রভাষকের বিরুদ্ধে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে আপ্ততিকর ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে নানা গুঞ্জন ও সমালোচনা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নীতিনৈতিকতা এবং শিক্ষকের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
জানা গেছে, ছাত্রের অভিভাবক মাদ্র্রাসা কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে শিক্ষিকার আচরণকে ‘অপেশাদার ও অনৈতিক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, “এমন একটি অভিযোগ আমরা লিখিতভাবে পেয়েছিলাম। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।”
ঘটনার পর মাদ্রাসা চত্বরে এবং আশপাশের এলাকায় বিষয়টি নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের আচরণ শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশের জন্য হুমকি এবং শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থাকে নষ্ট করতে পারে।
স্থানীয় একজন অভিভাবক বলেন, “শিক্ষকেরা যদি নৈতিকতার মানদÐে স্থির না থাকেন, তাহলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ কীভাবে নিরাপদ থাকবে? শিক্ষিকা কর্তৃক শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা রীতিমত আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। শুনেছি ওই শিক্ষার্থী আর ক্লাস করতে যাচ্ছে না। ঘুমের ঔষধ খেয়ে অনিশ্চিত জীবনের পথে চলে গেছে।”
তবে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলফোন -- নম্বরে রিং দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে কোনো আইনি বা প্রশাসনিক তদন্ত শুরু হয়েছে কি না, সে বিষয়ে অধ্যক্ষ মুখ খোলেন নি। তার ভূমিকা নিয়ে খোদ মাদ্রাসার শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে।
সচেতন অনেকেই বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-ছাত্রের সম্পর্ক অবশ্যই শ্রদ্ধা, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠতে হবে। তার ব্যত্যয় হলে তা পুরো শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কাজেই, দ্রæত তদন্ত করে ব্যবস্থাগ্রহণ অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন অভিভাবকরা।