আলমডাঙ্গায় বিএনপির দোয়া মাহফিল: প্রয়াত নেতাদের স্মরণ ও তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচারের আহ্বান

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা এবং দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের প্রয়াত ও অসুস্থ নেতৃবৃন্দের জন্য আলমডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত হলো এক হৃদয়গ্রাহী দোয়া মাহফিল।
২০ মে মঙ্গলবার বিকেলে আলমডাঙ্গার উপজেলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত এ দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে মঞ্চ প্রাঙ্গণ ছিল পূর্ণ।
দোয়া মাহফিলে আশু রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয় বিএনপির উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল কাউনাইন টিলু ও মজিবর রহমানের। আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয় প্রয়াত নেতা পৌরসভার সাবেক মেয়র মীর মহি উদ্দীনসহ আরও অনেক নেতা, যারা দলীয় সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন।
এ সময় আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করা হয় প্রয়াত নেতা বেলাল উদ্দিন, প্রয়াত আমিনুল ইসলাম মিয়া, আব্দুল জব্বার, ইসরাফ হোসেন, আবুল কাশেম, আব্দুল হাই বল্টু, নূর মোহাম্মদ, প্রফেসর ফজলুল হক মোল্লা, হাসিবুল হক, সাবেক এমপি মিয়া মোঃ মুনসুর আলী, সাবেক এমপি হাজী মোজাম্মেল হক, সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম বিশ্বাসসহ আরও অনেকের জন্য।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। তিনি বলেন, “চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা বরাবরই ধানের শীষের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আজকের উপস্থিতিই প্রমাণ করে দেয়, সাধারণ মানুষ বিএনপির সঙ্গেই আছে। আওয়ামী লীগ যতই দমন-পীড়নের পথ বেছে নিক, জনগণ ধানের শীষের পক্ষেই থাকবে।” তিনি তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি ইউনিয়ন পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।"
দোয়া মাহফিলের প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, “যদি আমরা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে মানি, তাহলে আমাদের শহিদুল কাউনাইন টিলু, মীর মহি উদ্দীন ও মজিবর রহমানকেও মানতে হবে। দুঃখজনকভাবে কিছু 'হাইব্রিড' নেতা দিয়ে এখন দল চালানো হচ্ছে, যারা দলের অতীত ইতিহাস ও ত্যাগ ভুলে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আলমডাঙ্গার রাজনীতিতে ৫ আগস্টের আগে কোনো প্রভাবশালী নেতৃত্ব ছিল না। আজকের এই জমায়েত প্রমাণ করেছে এই মাটি শহিদুল কাউনাইন টিলুর এবং পৌরসভা মাটি মীর মহি উদ্দীনের ঘাঁটি।” বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি দৃঢ় কণ্ঠে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে শামসুজ্জামান দুদু মনোনয়ন পাবেন, ইনশাআল্লাহ।”
সভাপতির বক্তব্যে শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, “আপনারা দলের পতাকার নিচে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।”
বিশেষ অতিথি ছিলেন আইনজীবি সমিতির সভাপতি শামীম রেজা ডালিম, সদর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ইফতেখারুজ্জামান লুডু খান।
জেলা সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসাধারন সম্পাদক ডা. আলা উদ্দিন, উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, আইলহাস ইউনিয়ন সাবেক বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওহাব মাস্টার, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফ বিশ^াস মিল্টু, সহসভাপতি মাগরিবুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মনজুরুল জাহিদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল আজম ডালিম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রহিদুজ্জামান রহিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক তৌফিক খান, সোহেল রানা, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন, ফারুকুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌফিক এলাহী, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন, পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সামিমুল হাসান সানি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদ আলী, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সম্পাদকের মধ্যে শাহিবুল ইসলাম সন্টু মিয়া, মহিনুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন বিল্লাল, জাহিদ হোসেন, মফিজ উদ্দিন, মঈন উদ্দিন, ইউনুস আলী, চিনির উদ্দিন, লিয়াকত আলী, তোফাজ্জেল হক, সেলিম মিয়া, সুন্নত আলী, মামুন, ওয়াহেদ, আব্দুল হান্নান, পান্না চৌধুরী, ডাঃ আব্দুল লতিফ, কৃষকদলের সাবেক সভাপতি সম্পাদকের মধ্যে শহিদুল মোল্লা, ডাঃ আবুল কালাম, শওকত আলী, সিতাব আলী, মুকুল হোসেন, বিএনপি নেতা আব্দুল বারী, আহাদ আলী, আলিম ডাঃ, আসমত উল্লাহ, তৈয়ব আলী, কাবিল হোসেন, নওশাদ আলী, মহির উদ্দিন, আলফাজ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম মেম্বার, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মিঠু, যুবদল নেতা ময়েন, সুষম, চয়েন, তাইফু, হাসানুজ্জামান, তুষার, মুক্তার আলী, মিশকার আলী, মনা, মিরাজ, আসলাম, আলমগীর, বাবু, ঠান্ড, রিপন, হিরা, ওল্টু, রাসেল, বাদশা, ফিরোজ, আকাশ, ছাদ্দাম, বকুল, আসাদুল, খালেক, সেলিম, রাজন, রনী, বাচ্চু, সুজন, আনিছ, ছামাদ, জামাল, আমিরুল, ফরজ, আলতাফ, চাঁদ আলী, ছাত্রদল নেতা সাগর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় এক আবেগঘন মিলনমেলায়, যেখানে দলীয় ঐক্য ও ভবিষ্যতের সংগ্রামকে সামনে রেখে নেতাকর্মীরা শপথ গ্রহণ করেন নতুন উদ্যমে পথচলা শুরুর।