আলমডাঙ্গার সাবেক এক কাউন্সিলরসহ ৪ জনের নামে ধর্ষণ অপচেষ্টা মামলা করলেন কাজল রেখা

আলোচিত কাজল রেখা এবার আলমডাঙ্গা শহরের জনপ্রিয় সাবেক এক কাউন্সিলর ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নেতাসহ ৪ জনকে আসামী করে ধর্ষণ অপচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। গত বছর ৬ জুনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল চুয়াডাঙ্গা আদালতে ৪ জনকে আসামী করে মামলার আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে আলমডাঙ্গা থানায় গত ১২ মে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কাজল রেখা গত বছর আলমডাঙ্গা হিন্দুপাড়ার লাল্টুর বাসায় ভাড়া থাকতেন। এক পর্যায়ে ১ নং আসামি হিন্দুপাড়ার গুরুদাসের ছেলে মঙ্গলও একই বাসায় ভাড়া থাকতেন। সে সময় এক নং আসামী বাদীর সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। একাধিক দিন ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণকালে অন্যান্য আসামি জাকারিয়ার ছেলে সাচ্চু,দিলীপ কুমারের ছেলে দীপু ও গৌরের ছেলে রিপনের সহযোগিতা নিয়ে এক নং আসামী ভিডিও ধারণ করেন। পরে বাদী ওই ভাড়া বাড়ি ত্যাগ করে আলমডাঙ্গা পৌরসভার মিয়াপাড়া এলাকায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় এক নং আসামী বাদীকে ধর্ষণের অপচেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
কাজল রেখা কর্তৃক ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণ মামলা নতুন কিছু না। জানা গেছে, এটা তার দায়েরকৃত ১১ নং মামলা।
কাজল রেখার প্রথম স্বামী ফুলবগাদী গ্রামের মিন্টু, ২য় স্বামী ডামোস গ্রামের হাফিজুর রহমান, ৩য় স্বামী নতিডাঙ্গা গ্রামের ফারুক, ৪র্থ স্বামী একই গ্রামের শরিফুল, ৫ম স্বামী ভোগাইলবগাদী গ্রামের শাওন, দুই পুলিশ সদস্য স্বামী পুলিশ পরিদর্শক(অব:) দাউদ, কনস্টবল শিহাবসহ আরো অনেককে বিয়ে করে তালাক দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পতিতাবৃত্তির অভিযোগে গত ২০১১ সালের ২৩ মার্চ নতিডাঙ্গা গ্রামবাসী কাজল রেখার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়।এ বিষয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় গত ২৪/০৩/২০১১ তারিখে সংবাদ প্রকাশিত হয়।