১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় বোরো ধান কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে কর্তন উদ্বোধন

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
মে ১৫, ২০২৫
120
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গায় কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সমলয় চাষাবাদের উৎপাদিত বোরো ধান কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে কর্তন উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৪ মে বৃধবার বিকেলে উপজেলার ভোদুয়া গ্রামের মাঠে এ ধান কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে কাটা উদ্বোধন করা হয়। ভোদুয়া গ্রামের ৬৮জন কৃষক ১৫০ বিঘা জমিতে সমলয় ধান চাষবাদ করেন।


উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নিার্বহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ মাহমুদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাখছুরা জান্নাত, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর জামাল হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মৌদুদ আলম খাঁ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম আওয়াল, উপজেলা পরিসংখ্যান তদন্তকালী মুফিজুল ইসলাম, কৃষি প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন পালোয়ান, জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলম শাহ।

উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মুতির উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন সমালয়ে ধানচাষ করা কৃষকদের মধ্যে নিকবার আলী, সকিরদ্দিন, শরিফুল, ইউনুস মন্ডল, বদর উদ্দিন, আব্দুল কুদ্দুস, আমজেদ আলী, আনন্দ, কাজেম আলী উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, সোহেল রানা, রতœা খাতুন, মসলে উদ্দিন, হুমায়ন কবীর, শিহাব উদ্দিন প্রমুখ।


কৃষক আলম শাহ বলেন, যান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে বোরো ধান রোপণ ও কর্তন করায় তাদের সময় ও শ্রম কম লেগেছে। ফলনও ভাল হয়েছে। ফলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে।


উপজেলা কৃষি অফিসার রেহানা পারভীন বলেন, সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ভোদুয়া গ্রামের ৬৮জন কৃষক ১৫০ বিঘা জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে। এই পদ্ধতিতে বীজতলা ও ধানের চারা রোপণে ব্যবহার করা হয়ে ছিল আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। ফলে কৃষিতে নতুন দুয়ার খুলেছে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। কৃষকের ভোগান্তি ও খরচ কমেছে। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম বলেন, জমি ও সময় অপচয়রোধে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যুগোপযোগী পদ্ধতি হচ্ছে ‘সমলয়’ চাষ। এ পদ্ধতিতে জমিতে সার ও বালাইনাশক প্রয়াগ করা হয় একই মাত্রা ও একই সময়ে। ফলে ধানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়। এখানে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এখন কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার করে ধান কর্তন করা হচ্ছে।

এই প্রকল্পের আওতায় থাকা সব জমিতে একই সময়ে ধান বপন করা হয়েছে এবং একই সময় কাটা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এখানে বিরি ধান ৯২ জাতের ধান রোপণ করা হয়েছিল। কৃষি যান্ত্রিকরণের যে সুফল, ইতোমধ্যেই কৃষকরা সেটি বুঝতে শিখেছেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram