আলমডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে ৩ প্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা

আলমডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ৩ আইসক্রীম ফ্যাক্টারি ও ১ বেকারিতে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। ১৪ মে দুপুরে আলমডাঙ্গা জামজামি সড়কের হাউসপুর এলাকায় এ সকল প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও লাইসেন্স না থাকায় জরিমানা করা হয়।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের হাউসপুর এলাকার আলমডাঙ্গা-জামজামি সড়কে বেশ কয়েকটি আইসক্রীম ফ্যাক্টারি কয়েক বছর ধরে আইসক্রীম উৎপাদন করে আসছে। এ সকল আইসক্রীম ফ্যাক্টারির নাম আইসক্রীম উৎপাদন করে বাজারজাত করলেও তাদের নেই লাইসেন্স। তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রীম উৎপাদন করে বাজারজাত করে।
এসকল অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গার সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নিজাম উদ্দিন ও সেনাবাহিনীর টিম সঙ্গে নিয়ে আইসক্রীম ফ্যাক্টারি ও ১ টি বেকারিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে আলমডাঙ্গা-জামজামি সড়কের হাউসপুর এলাকার মেসার্স মুছা সুপার আইসক্রীম, শাপলা সুপার আইসক্রীম, মুবিন সুপার আইসক্রীম ও আরজু ফুড বেকারিতে অভিযোগের সত্যতার প্রমান পান। মেসার্স মুছা সুপার আইসক্রীম ফ্যাক্টারির কর্মচারীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রীম তৈরী ও ফ্যাক্টারির লাইসেন্স না থাকায় মালিক সুমন আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। শাপলা সুপার আইসক্রীম ফ্যাক্টারির লাইসেন্স না থাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইসক্রীম তৈরী অপরাধে ফ্যাক্টারির মালিক মিরাজ আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও বেশ কিছু আইসক্রীম ধংস করা হয়।
এছাড়া শাপলা সুপার আইসক্রীম ফ্যাক্টারির উৎপাদিত বেশ কিছু আইসক্রীমগুলো বিক্রয় শেষে করে লাইসেন্স না করা পর্যন্ত উৎপাদক বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। মুবিন সুপার আইসক্রীম ফ্যাক্টারি লাইন্সে না থাকার অপরাধে মালিক তোফায়েল আহমেদকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ তিন আইসক্রীম ফ্যাক্টারিতে অভিযানের কথা শুনে লোটাস মিল্ক সুপার আইসক্রীম ফ্যাক্টারির মালিক সাজেদুর রহমান ফ্যাক্টারিতে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। এরপর একই স্থানে আরজু ফুড বেকারিতে অভিযান চালিয়ে অস্বাস্থ্য পরিবেশ পাওয়ায় মালিক আলিম হোসেনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।