আলমডাঙ্গায় কবি মুকুল চৌধুরীর কবিতা পাঠ ও পর্যালোচনা


আলমডাঙ্গায় আশির দশকের অন্যতম শক্তিমান কবি মুকুল চৌধুরীর কবিতা পাঠ ও পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৯ মে ২০২৫ খ্রি. শুক্রবার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা ইসলামিয়া একাডেমীতে এ আসর অনুষ্ঠিত হয়। আসরের শুরুতে মুকুল চৌধুরীর জীবন ও সাহিত্য বিষয়ে আলোকপাত করেন নাদিউজ্জামান রিজভী।
কবি আহমাদ কাজলের উপস্থাপনায় আসরে মুকুল চৌধুরীর কবিতা পাঠ করেন ইবতেসাম কৌশিক, আফনাব আহমেদ নাহিয়ান, তাওহিদুল ইসলাম খান, সোহেল রানা, বেলায়েত হোসেন বিপু ও তামজিদ হাসান আবির। কবিতা পাঠ শেষে পর্যালোচনামূলক আলোচনা করেন ইমদাদুল হক ও ডালিম হোসেন।
এ আসরে আরও উপস্থিত ছিলেন মাহফিল উদ্দিন মানিক, সনি মল্লিক, মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মেহরাব সিদ্দিকী, শারজিল হাসান, সালাউদ্দিন, আবু শুআইব শিমুল, আকিব রেজা, আল মাহমুদ প্রান্ত ও ইসমাইল শিপন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কবি মুকুল চৌধুরী ১৯৫৮ সালের ২২ আগস্ট সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের খালোপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শ্রমনিষ্ঠ কবি ও লেখক। গত শতকের সত্তর দশকের মাঝামাঝি থেকে লিখে গেছেন নিরলসভাবে। আশির দশকের অন্যতম শক্তিমান কবি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন। কবিতার পাশাপাশি গদ্য সাহিত্যেও তিনি শক্তিমান, ঝরঝরে, বুদ্ধিদীপ্ত। প্রবন্ধ, গবেষণা এবং কিশোর-রচনা ও সম্পাদনায় তার রয়েছে স্বচ্ছন্দ ও স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ বিচরণ।

তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ২৮টি। এর মধ্যে কাব্যগ্রন্থ ছয়টি, প্রবন্ধ/গবেষণা গ্রন্থ পাঁচটি, কিশোর গ্রন্থ পাঁচটি সম্পাদিত গ্রন্থ ছয়টি। ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতার বই অস্পষ্ট বন্দর। মুকুল চৌধুরী তার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বুক অব দি ইয়ার এচিভম্যান্ট এওয়ার্ড, বিএনএসএ, ইংল্যান্ড (১৯৯৬); সাহিত্য পুরস্কার, বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ, ঢাকা (১৯৯৭); রাগীব রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার, সিলেট (২০০৬); জালালাবাদ সাহিত্য পুরস্কার, সিলেট (২০১২)-এ ভূষিত হন