আলমডাঙ্গায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৬ সদস্য আটক : বিদেশি অস্ত্র, পুলিশের পোশাক ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ম) ভোররাতে উপজেলার খাসকরা ইউনিয়নের পারলক্ষীপুর গ্রাম থেকে একটি মাইক্রোবাস চ্যালেঞ্জ করে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিদেশি পিস্তল, রিভলবার, ওয়ান শ্যুটার গান, ওয়াকিটকি সেট, পুলিশের পোশাক, গ্রিল কাটার ও তালা ভাঙার সরঞ্জামসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কুষ্টিয়ার ইবি থানার কন্দরপদিয়ার গ্রামের বাবর আলীর ছেলে রুবেল রানা (২৯), ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুর আহাদনগরের কাছেদ ওরফে কাসেম আলীর ছেলে আজিজুর মন্ডল (৩৬), জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের সাইফুল ইসামের ছেলে শিলন মোল্লা (২১), কাদিখালী রামচন্দ্রপুরের কলম আলীর ছেলে সবুজ আলী মিঠু(৩০), এবং মধুপুর গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪০) ও মহসিন শেখের ছেলে মারুফ শেখ (২০)। পুলিশের তথ্যমতে, এরা সক্রিয় একটি আন্তজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য এবং চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে ডাকাতি, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলার পলাতক আসামি। ডাকাত সদস্যরা কয়েকদিন আগে তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি কয়েকদিন আগে ঝিনাইদহ এলাকা থেকে চুরি করে নিয়ে এসেছে। তারা শুধু ডাকাতি না ছিনতাই ও চুরি করে বলে জানা যায়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান - পিপিএম বলেন, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি, একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল খাসকরা এলাকায় অবস্থান করছে। অভিযান চালিয়ে মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করা হয় এবং ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলবার, ১টি ওয়ান স্যুটারগান, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি চাইনিজ কুড়াল, গ্রিল কাটা মেশিন, তালা খোলা যন্ত্র, ওয়াটকি, পুলিশের পোশাক ও ডাকাতির সরঞ্জামসহ ৬ ডাকাতকে আটক করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আটককৃতদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রটির অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের এ সফল অভিযান এলাকায় স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আন্তর্জাতিক তৎপরতা ও দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রশংসনীয়। স্থানীয়রা মনে করেন, এ ধরনের পরিকল্পিত ও পেশাদার অভিযান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
আলমডাঙ্গা নাগরিক সমাজ এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। পরে এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ এক প্রেস ব্রিফিং -এ লিখিত বক্তব্য প্রদান করে।
এদিকে, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান (পিপিএম)'র নেতৃত্বে তিওরবিলা ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এস আই সুকান্ত দাস, আলমডাঙ্গা থানার এস আই কাজী শামসুল আলম ও এস আই শরিফুল ইসলাম, তিওরবিলা ফাঁড়ি এএসআই রেজাউল ইসলাম, কনস্টেবল রোকনুজ্জামান, মেহেদি হাসান,মামুন অর রশিদ, তৌহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান, অন্তু মিয়াসহ ওই অভিযানে অংশ নেন।