পুত্রবধূর অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় শ্বাশুড়িকে মারধর ও নিজ সন্তানকে মেরে ফেলার চেষ্টা

পুত্রবধূর অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় শ্বাশুড়িকে মারধর ও নিজ সন্তানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূ ও তার স্বজনেদর বিরুদ্ধে। স্বামী-শ্বশুর- দেবরের বিদেশ থাকার সুযোগে ওই গৃহবধূ বেশকিছুদিন যাবৎ বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গার পাশর্^বর্তি মিরপুর উপজেলার আসাননগর গ্রামে।
অভিযোগে শ্বাশুড়ি মাসুরা খাতুন জানান, আমার বড় ছেলে মাসুদ ৯ বছর আগে প্রতিবেশী সাহাবুল হকের মেয়ে মীম খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করে। তাদের ৭ বছর বয়সী জুনায়েদ নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। আমার স্বামী আগে থেকেই সৌদি প্রবাসি।
আরেক ছেলেও বিদেশে রয়েছে। গত ২ বছর আগে আমাদের তিনজনকে বাড়িতে রেখে আমার বড় ছেলে মাসুদ সৌদি আরবে চলে যায়। মাসুদ বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই আমার পুত্রবধু মীম খাতুন বিভিন্ন ছেলের সাথে মোবাইলে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা আমার বাড়িতেই মীমের কাছে আসা-যাওয়া করতে থাকে। প্রথমদিকে আমি এসব ঘটনাকে গুরুত্ব দিইনি। কিন্তু প্রতিবেশী মীমের মামা সম্পর্কের সাব্বির নামের এক যুবক নিয়মিত ঘরে ঢুকতে থাকে। ১ মে দিনের বেলায় সাব্বির ও মীমের অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে ফেলায় আমার ওপর নির্যাতন নেমে আসে। আমি আপত্তি করলে আমাকে মারধর করা হয়। আমার পুত্রবধুর বাপের বাড়ি একেবারে পাশে হওয়ায় তার বাপ ও মা আমার ওপর চড়াও হয়। আমি একা বাড়িতে থাকতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকি। পরে বাধ্য হয়ে মীরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
মাসুরা বেগম আরও বলেন, এরপর আমার পুত্রবধুর আত্মীয় আকরাম মেম্বারের যোগ সাজসে নানা চক্রান্ত শুরু করে আমার পুত্রবধূ। আমাকে ও আমার পরিবারকে ফাঁসাতে গত দুদিন আগে আমার নাতী ছেলে জুনায়েদকে তার মা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। তার চিৎকারে আমরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে রক্ষা করি। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুধু তাই না আকরামের ষড়যন্ত্রণের অংশ হিসেবে সালিশ সভার আয়োজন করা হয়। সালিশে মীমকে সাত লক্ষ টাকা পরিশোধ করে তাকে তালাক দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এরপর থেকে আকরাম মেম্বারসহ কয়েকজন টাকার জন্য নানাভাবে চাপ দিচ্ছে। তার পুত্রবধু মীম সাত লক্ষ টাকা না নিয়ে বাড়ি ছাড়বে না বলে আকরাম মেম্বারের পরামর্শে এখনও তার ছেলে মাসুদের ঘরে থেকে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তিনি একজন বয়স্ক মহিলা একা বাড়িতে থাকি। তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। তিনি প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।