রিমান্ডে থাকা সাদ্দামের সহযোগী রকির স্বীকারোক্তিতে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ৪টি রামদা উদ্ধার

রিমান্ডে থাকা অস্ত্রধারী মাদকব্যবসায়ী সাদ্দাম ও তার সহযোগী রাকি স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একটি আমেরিকান পিস্তল, ম্যাগজিন, এক রাউন্ড গুলি ও ৪ টি রামদা উদ্ধার করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। ২৫ এপ্রিল গভীর রাতে শহরের সাদ্দামের মাছের ঘের ( পার্শ্ববর্তী মিরপুর উপজেলার বাজিতপুরে অবস্থিত) থেকে বিদেশি পিস্তলসহ দেশি অস্ত্রগুলি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল রাতে অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে পিয়াল মাহমুদ ওরফে সাদ্দামের মাছের ঘেরে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। সে সময় সাদ্দাম ও তার সহযোগী আলমডাঙ্গা শহরের মৃত মজিবার রহমানের ছেলে আতাউর রহমান রকিকে আটক করে। তাদের নিকট থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
সাদ্দামের নামে মাদকদ্রব্য, ডাকাতি, ছিনতাই, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৭টি মামলা রয়েছে।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। বিজ্ঞ আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৩ এপ্রিল তাদেরকে ৩ দিনের রিমান্ডে থানা কাস্টডিতে নিয়ে আসা হয়েছে। রকির স্বীকারুক্তিতে পুলিশ মাছের ঘের থেকে মাটিতে পুতে রাখা সাদ্দামের বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রগুলি উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি একটি অস্ত্র মামলায় মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া আসামি যিনি বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন, সেই সাদ্দাম ও তার সহযোগী রকি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, সাদ্দামের মাছের ঘেরে টিনের ঘরের পাশে মাটিতে পুতে রাখা একটি বিদেশি পিস্তল রয়েছে। তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি তৈরি পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে। পিস্তলের গায়ে প্রস্তুুুুুুুুুুুুুুুুুুতকারক ইউএসএ লেখা ও গুলির পেছনে কেএফ ৭.৬৫ লেখা)।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান বলেন, “আসামির দেওয়া তথ্য যাচাই করে আমরা অস্ত্রটি উদ্ধার করেছি। এই ঘটনায় নতুন করে একটি মামলা দায়ের করা হবে এবং তদন্ত ও অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিকে, আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের মাদক ও অস্ত্র বিরোধী সফল অভিযান ও ধারাবাহিক সাফল্যে
এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তারা পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।