আলমডাঙ্গায় ব্যবসায়ী সোহাগ আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গায় হাজী মোড়ের ইলেক্ট্রনিক্স মেকার ও ব্যবসায়ী সোহাগ আলীর বিরুদ্ধে কৌশলে জমি লিখে নিয়ে বৈঠকে ফেরতের প্রতিশ্রæতি দিয়েও জমি ফেরৎ না দেওয়ায় প্রতারণার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তির ভাই আইনাল হক।
৯ এপ্রিল তিনি লিখিত সংবাদ সম্মেলনে আলমডাঙ্গার হাজী মোড়ের মৃত মানিক মিয়ার ছেলে আইনাল হক জানান, আমার ভাই কামরুজ্জামান বাবুজান শেখের হাজী মোড়ে নিজ জমিতে মিল বসিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। আমার ভাইয়ের জমির পাশেই আমার চাচাতো বোনের দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স দ্রব্যের ব্যবসা ও যন্ত্রপাথি মেরামত করেন আসান নগর গ্রামের সোহাগ আলী। চতুর সোহাগ আলীর আমার সহজ সরল ভাইয়ের জমির উপর কু'নজর পড়ে।
সে আমার ভাই বাবুজানকে প্রয়োজন হলে তার কাছ থেকে টাকা পয়সা ধার নেবার প্রলোভন দেখায়। তার প্রলোভনে পড়ে আমার সহজ সরল ভাই বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে দু' এক হাজার করে টাকা ধার নেয়। সেই ধার নেওয়া টাকা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে চতুর সোহাগ আলী অনেক টাকা পাবে দাবী করে তার জমি রেজিষ্ট্রি করে নিতে চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে অতি সংগোপনে আমার সহজ সরল ভাইকে রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে সোহাগ আলী তার স্ত্রী খালেদা খাতুনের নামে ২২ পয়েন্ট জমি লিখে নেয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে আমরা সহ আমার ভাইয়ের পরিবার সালিশ বৈঠক ডাকে। সালিশে উপস্থিত লোকজন বিষয়টি অবগত হয়ে জমি ফেরত দেওয়ার কথা হয়। এ সময় সোহাগ আলী জানায়, এই জমি খারিজ করে দিলে আমি পূনরায় জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে পারি। তার কথামত আমরা আমাদের টাকা খরচ করে জমি খারিজ করে দিই। জমি খারিজের পর সোহাগ আলীর কথামত আমার ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি করার দিন ক্ষণ ঠিক হয়। আমরা রেজিস্ট্রির দিন অফিসে হাজির হলেও সোহাগ আলী তার স্ত্রী হাজির করে না। এখন সে জমি রেজিস্ট্রি করে দিবে না বলে আমার ভাইয়ের সাথে প্রতারণা শুরু করেছে।
এমতাবস্থায় আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্রতারণার বিচার ও জমি ফেরতের ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।