শ্যালকের স্ত্রীকে যৌন কামনা মিটানোর উদ্দেশ্য জড়িয়ে ধরে নন্দাই শ্রীঘরে

শ্যালকের স্ত্রীকে যৌন কামনা মিটানোর উদ্দেশ্য জড়িয়ে ধরে নন্দাই শ্রীঘরে। ৭ এপ্রিল সোমবার দিনগত রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার দৌলতদিয়াড় গ্রাম থেকে অভিযুক্ত নন্দাই আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। গত ১ এপ্রিল বলেশ^রপুর গ্রামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। শ্যালকের স্ত্রী আলমডাঙ্গা থানায় আরিফুলকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
জানাগেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বলেশ^রপুর গ্রামের ইক্তারুল হক তার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ঘুরতে আসে। ইক্তারুল হক বিয়ের পর থেকে সে তার শ^শুর দৌলতদিয়াড়ের(মৃত আসমাউল হকের) বাড়িতে বসবাস করে। ইক্তারুল তার শ^শুরের গ্রাম দৌলতদিয়াড়ের আলা উদ্দিনের ছেলে আরিফুল ইসলামের সাথে বোনের বিয়ে দেয়। ঈদের পর ১ এপ্রিল আরিফুল ইসলামও তার শ^শুরবাড়ি বলেশ^রপুর গ্রামে বেড়াতে আসে। বিকালে ইক্তারুল ও তার বোনের স্বামী আরিফুল ইসলাম চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ির বাহিরে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আরিফুল প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার বাহানা করে অসৎ উদ্দেশ্যে বাড়িতে আসে। শ্যালকের স্ত্রীকে ঘরে একা দেখে তার ঘরে প্রবেশ করে যৌন কামনা মিটানোর উদ্দেশ্য নন্দাই আরিফুল তাকে জড়িয়ে ধরে ।
এসময় শ্যালকের স্ত্রীর চিৎকারে নন্দাই আরিফুল ইসলাম পালিয়ে যায়। এবিষয়ে ইক্তারুলের স্ত্রী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে ঘোলদাড়ি ক্যাম্প পুলিশের এসআই প্রদীপ বিশ^াস সঙ্গীয় অফিসার ফোর্ন নিয়ে অভিযান চালিয়ে আরিফুল ইসলামকে দৌলতদিয়াড় থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। গতকালই তাকে সংশ্লিষ্ঠ মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।