আলমডাঙ্গায় মাদক সম্রাজ্ঞী মিনি, রুনা ও মাদক মাদক ব্যবসায়ী রবিউল গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পৃথক পৃথক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী মিনি, রুনা ও মাদক সম্রাজ্ঞী মুন্নির ছেলে মাদক ব্যবসায়ী রবিউলকে গ্রেফতার করেছে। তার নিকট থেকে উদ্ধার করেছে বাজারে বিক্রয় নিষিদ্ধ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মাদক বিক্রয়ের নগদ টাকা। তাদের নামে আলমডাঙ্গা থানায় বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা রেলষ্টেশনপাড়ার আলা উদ্দিনের স্ত্রী মানি লন্ডারিং, চুরিসহ ডরজন খানেক মামলার আসামী মাদক সম্রাজ্ঞী মিনি বেগম(৫৬) দীর্ঘ বছর ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। সে তার জীবনে ১৪ বারেরও বেশি জেলে গিয়েছে। মিনি বেগমকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়াসহ আশপাশ জেলার মাদক সেবীরা এক নামেই চেনে। সে একসময় আলমডাঙ্গা রেল ষ্টেশনে মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিল।
মিনি বেগম,তার স্বামী, ছেলে-মেয়ে, জামাই, বোনসহ তার পরিবারের সকলেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতে। আলমডাঙ্গা রেল ষ্টেশনে একসময় হাত বাড়ালে সবধরনের মাদক পাওয়া যেত। বেশ কয়েক বছর আগে তার জামাই ওল্টু মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে মারা যায়। তারপর থেকে কয়েক বছর আলমডাঙ্গা রেল ষ্টেশন এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে আবারও মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে মিনি পরিবার।
গত ৩১ মার্চ রাতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রয়কালে তাকে গ্রেফতার করে। তার নিকট থেকে উদ্ধার করে ৪০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ৩ হাজার ৯শ ৫০ টাকা। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরেক মাদক সম্রাজ্ঞী মুন্নির ছেলে ডরজন খানেক মাদক ও চুরি মামলার আসামী মাদক ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম(৩০)কে গ্রেফতার করেছে। রবিউল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। শুধু মাদক ব্যবসাই নয় তার বিরুদ্ধে রয়েছে শহরের চুরির অভিযোগ। সে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি চুরিও করে। ১ এপ্রিল রাতে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রয়কালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার নিকট থেকে ২২ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করে। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ আলমডাঙ্গা রেল ষ্টেশনপাড়া মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক সম্রাজ্ঞী মিনি গ্রুপের অন্যতম মাদক সম্রাজ্ঞী রুখসানা আক্তার রুনাকে গ্রেফতার করে । তার নিকট থেকে উদ্ধার করে ৫৭ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রয়ের ৩৪ হাজার ৭শ ৫০ টাকা। রুনা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। সে এলাকায় পাইকারি ও খুচরা ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রয় করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় মাদক সম্রাট রুনার স্বামী সাজ্জাদুল ইসলাম ছপু। রুনা ও ছপুর বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছপুতে পলাতক আসামী করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা রেল ষ্টেশনের পুরাতন গোডাউনের আশে পাশে কয়েকটি চায়ের দোকান গড়ে উঠেছে। এ দোকানের বেশিরভাগে চা বিক্রেতাই নারী। এ সকল নারীদের বেশিরভাগ চায়ের দোকানের নারীরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এলাকাবাসীরা জানান, এসকল চায়ের দোকানগুলো উচ্ছেদ করলেই মাদক ব্যবসা কমে যাবে।