১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গায় বোমা বিষ্ফোরনে নাজমুল ইসলাম মিঠু রক্তাক্ত জখম

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
এপ্রিল ৫, ২০২৫
114
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

কুষ্টিয়া জেলা মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরোকিয়ার বিষয় নিয়ে হুমকি, মারধর ও বোমা বিষ্ফোরনে নাজমুল ইসলাম মিঠু রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে। বোমা বিষ্ফোরণে ও মারধরে রক্তাত্ব জখম মিঠুকে প্রথমে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।


জানাগেছে, কুষ্টিয়া জেলা মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামে ইতালি প্রবাসী জিহাদের স্ত্রীর সাথে প্রতিবেশি সোহবার উদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরোকিয়া প্রেমের গুঞ্জন চলে আসছিল। ঈদের পর দিন কামরুলের স্ত্রী মানুষের নিকট জানায় প্রাবাসীর স্ত্রী কামরুলের সাথে চলে গেছে। এ ঘটনার জিহাদের মায়ের সাথে কামরুলেল স্ত্রীর কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরপর প্রবাসী জিহাদের স্ত্রীর মামা বাড়ি ওই গ্রামে।

তারা বিষয়টি জানতে পেরে কামরুলকে মারার জন্য বাড়ি থেকে দেশিও অস্ত্র নিয়ে বাড়ির সামনে হাজির হয়। কামরুলের চাচাতো ভাই আবজাল হকের ছেলে নাজমুল ইসলাম মিঠুর এগিয়ে আসে এবং প্রবাসী জিহাদের পরিবারের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করে। এসময় প্রবাসী জিহাদের পিতা আনোয়ার, ভাই শিমুল ও নিশান, স্ত্রীর মামা আনোয়ার হোসেন, মতিয়ার রহমান, গিয়াসসহ বেশ কয়েকজন মিঠুকে মারার জন্য এগিয়ে যায়। এরই মাঝে পর পর দুটি বোমা বিষ্ফোরন হয়। বোমা বিষ্ফোরন হয়ে মিঠুর বাম হাতের দুটি আঙ্গুল, ডান চোর, ডান হাতে ও শরীলের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় প্রবাসী জিহাদের পরিবারের লোকজন রক্তাক্ত জখম হওয়ার পরও মিঠুর বাড়ির বেড়া ভেঙ্গে প্রবেশ করে তাকে ও তার স্ত্রী সম্পাকে মারধর করে। পরে মিঠুর লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদী নিয়ে ভর্তি করে। হারদী থেকে আশঙ্খাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

এবিষয়ে ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে তাদের প্রতিবেশিদের সাথে কথা বলে বোমা বিষ্ফোরন ও মারধরের বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানান, কে বোমা মেরেছে তা আমরা দেখিনি। মিঠু বোমা নিক্ষেপ করতে গিয়ে তার হাতে বিষ্ফোরন হয়েছে কিনা তাও প্রতিবেশিরা বলতে পারেনি।

বোমা বিষ্ফোরণে রক্তাক্ত জখম নাজমুল ইসলাম মিঠুর স্ত্রী সম্পা খাতুন জানান, বাড়ির বাইরে থেকে পর পর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমা বিষ্ফোরন হয়ে তার স্বামী মিঠুর বাম হাম, ডান চোখ , ডান হাতসহ শরীলের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। পরে আনোয়ার, মতিয়ার, গিয়াস, আনোয়ারসহ বেশ কয়েকজন বেড়া ভেঙ্গে বাড়ির মধ্যে এসে রক্তাক্ত জখম তার স্বামী মিঠুকে মারধর করে। তিনি তার স্বামীকে ঠেকাতে গেলে তাকেও তারা মারধর করে।
এবিষয়ে আনোয়ার, মতিয়ার, গিয়াস, আনোয়ার বাড়িতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি।

তবে প্রবাসী জিহাদের মা নিলুফা খাতুন জানান, ছেলে জিহাদ ইতালি প্রবাসি। তার ছেলে স্ত্রী বাড়িতে থাকে। প্রায় দুবছর ধরে প্রতিবেশি কামরুল ইসলামের স্ত্রী মানুষের নিকট আমার ছেলে স্ত্রীর সাথে কামরুলের অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে বেড়ায়। ঈদের পরদিন কামরুলের স্ত্রীর সাথে আমার কথাকাটাকাটি হয়। এরপর আমার ছেলের স্ত্রীর মামারা বিষয়টি জানতে পারে। তারা কামরুলের নিকট বিষয়টি জানতে আসে। এসময় মিঠু তার বাড়ির মধ্য থেকে আমাদের বোমা মারার হুমকি দিয়ে বাড়ির মধ্যে চলে যায়। এর পরপরই দুটি বোমা বিষ্ফোলের শব্দ হয়। পরে জানতে পারি মিঠু বোমা মারতে গিয়ে তার হাতেই বিষ্ফোরন হয়ে জখম হয়েছে।

দুপুরে মিরপুর থানার এসআই অসিত কুমার ও কাকিলাদাহ ক্যাম্পের এএসআই জানে আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মিঠুর বাড়ি থেকে বিষ্ফোরিত বোমার আলামত জব্দ করে নিয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram