২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেলা ফরিদপুর থেকে ১ ডাকাতসহ ২ ডাকাত গ্রেফতার করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
মার্চ ১৭, ২০২৫
64
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গার ডাকাতি মামলার দুই আসামীকে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মকবুল হোসেনকে ও নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গোলাম সরোয়ার রনিকে।  মকবুল হোসেন আলমডাঙ্গার বক্সীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি আলমডাঙ্গা - কুষ্টিয়া সড়কে গাছ ফেলে ও বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতি মামলার আসামি। অন্যদিকে, গোলাম সরোয়ার রনি উপজেলার গোকুলখালীর মৃত মোজাফফর আলীর ছেলে। তিনি কুলপালা মাঠে ডাকাতি মামলার আসামী। 

তাদেরকে গ্রেফতারের সময় হেসো ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামের মাঠে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতেরা মারধর করে পানবরোজের শলি বিক্রেতাদের গাড়ি থামিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইলফোন লুটে নেয়।  ওই ডাকাতির ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। ডাকাত চক্রের দুই সদস্য আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। 

সে সময় পুলিশ কুলপালার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আসামী জাহিদ আলী (৩৫) ও গোপীনগরের বজলুর ছেলে মিলন হোসেন (৩৪) কে প্রথমে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছাপ্রনোদিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তাদের স্বীকারুক্তি মোতাবেক ডাকাতির সাথে জড়িত গোপীনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৮) ও একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে টিপু সুলতান (৩২) কে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ

হত্যা, অস্ত্রবাজী, ডাকাতি ও বিস্ফোরকসহ ৫ মামলার আসামি  ভয়ঙ্কর ডাকাত দামুঢ়হুদার রামনগরের রনিকে গ্রেফতার করে।

এদিকে, জহুরুল ইসলাম ও টিপু সুলতানকে পুলিশ রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। তারই ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গোকুলখালীর রনিকে ও জেলা ফরিদপুর থেকে ববক্সীপুরের মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইতোপূর্বে গত ২৭ জানুয়ারি রাতে আলমডাঙ্গা -কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ও বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির ঘটনায় মাত্র ১ দিনের মধ্যে ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছিল পুলিশ। ওই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত মকবুল হোসেন।

এই দুই ডাকাতি ও হত্যা মামলার পর অনতিবিলম্বে জড়িতদের  গ্রেফতারের ঘটনায়  একদিকে মানুষ পুলিশকে সমীহ করতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, ডাকাত দলের নিকট মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

সমসাময়িককালে উপজেলায় সংঘটিত সবকটি ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ঘটনার অব্যবহিত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্মদক্ষতা ও পেশার প্রতি নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী। ডাকাতদলের আতঙ্কের নাম এখন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram