আলমডাঙ্গায় হত্যা, ডাকাতিসহ ৫ মামলার আসামি ভয়ঙ্কর ডাকাত দামুড়হুদার রনি গ্রেফতার

আলমডাঙ্গায় হত্যা, আগ্নেঅস্ত্র, বিস্ফোরক ও ডাকাতিসহ ৫ মামলার আসামি ডাকাত সর্দ্দার রনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডাকাত সর্দ্দার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামের মাঠে সংঘটিত ডাকাতি মামলার আসামি। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই কাজী সামসুল আলম সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করে ডাকাতি করা নগদ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দা।
ডাকাত সর্দ্দার রনি আলী দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর হঠাৎপাড়ার গ্রামের শহর আলীর ছেলে। রনি ভয়ঙ্কর অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় হত্যা, অস্ত্রবাজী ও ডাকাতি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৫ টি মামলা রয়েছে। দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গার সীমানা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতো। আলমডাঙ্গা থানায় ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রæয়ারি রাতে আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা মাঠে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতির ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। ডাকাত চক্রের দুই সদস্য আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তাদের স্বীকারুক্তিতে ভয়ঙ্কর ডাকাত রনিকে গত ১৩ মার্চ গ্রেফতার করে পুলিশ। ডাকাতির ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ কুলপালার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আসামী জাহিদ আলী (৩৫) ও গোপীনগরের বজলুর ছেলে মিলন হোসেন (৩৪) কে প্রথমে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছাপ্রনোদিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তাদের স্বীকারুক্তি মোতাবেক ডাকাতির সাথে জড়িত গোপীনগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৮) ও একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে টিপু সুলতান (৩২) কে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় রনিকে।
ইতোপূর্বে আলমডাঙ্গা -কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ও বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির ঘটনায় মাত্র ১ দিনের মধ্যে ডাকাতদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছিল পুলিশ। এই দুই ডাকাতির পর অনতিবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতারের পর একদিকে মানুষ পুলিশকে সমীহ করছে, অন্যদিকে, ডাকাত দলের নিকট মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
সমসাময়িককালে উপজেলায় সংঘটিত সবকটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের ঘটনার অব্যবহিত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্মদক্ষতা ও পেশার প্রতি নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছে। ডাকাতদলের আতঙ্কের নাম এখন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।