২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় চাচাতো দেবরের পরকীয়ার বলি প্রবাসির স্ত্রী উর্মি খাতুন

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
মার্চ ১৪, ২০২৫
52
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গায় চাচাতো দেবরের পরকীয়ার বলি এক সন্তানের জননী প্রবাসির স্ত্রী উর্মি খাতুন। ১২ মাচ বুধবারর্ দিনগত গভীর রাতে পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হলে ওই রাতেই উর্মি ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ ঘটনায় গৃহবধুর বাবা তার মেয়েকে হত্যার অভিযোগ তুললে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উর্মির শ্বশুর আব্দুল্লাহ, শাশুড়ি ও চাচাতো দেবর হাসিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। পরে গৃহবধূর বাবার কোন অভিযোগ না থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

গৃহবধূ উর্মি খাতুন (২৩) আলমডাঙ্গার গাংনী ইউনিয়নের বন্দরভিটা গ্রামের ফরিদ উদ্দীনের মেয়ে ও বাড়াদি ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসি মনিরুল ইসলামের স্ত্রী।

গ্রাম সুত্রে জানা গেছে, নতিডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল্লাহ'র ছেলে মনিরুল ইসলামের সাথে গত ৭ বছর আগে পার্শ্ববর্তী বন্দরভিটা গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে উর্মি খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এদিকে মনিরুল ইসলাম ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে গত ৩ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। বাড়িতে রেখে যান বাবা-মা ও স্ত্রী এবং ৬ বছরের ছেলে সন্তান।

এদিকে প্রবাসী মনিরুল ইসলামের স্ত্রী তারই চাচাতো দেবর হাসিবুল ইসলাম হাসিবের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তারা মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের ম্যাসেজ আদান প্রদান করতে থাকেন। এক পর্যায়ে পরকীয়ার বিষয়টি পরিবারের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে দু'জনের যোগাযোগ কমে আসে। এক পর্যায়ে গত বুধবার গভীর রাতে উর্মি তার দেবরকে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন ধরণের মেসেজ ও রিং করে তার কাছে যাওয়ার জন্য বলতে থাকে। এসময় হাসিব তার মাকে উর্মির মেসেজ দেবার ঘটনাটি জানালে তার মা ওই রাতেই উর্মিকে নিষেধ করেন। এসময় উর্মি তার প্রেমিকের উপর অভিমান করে ঘরের আড়াই ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন।

এদিকে এ ঘটনায় উর্মির স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ উর্মির শ্বশুর আব্দুল্লাহ,শ্বাশুড়ি ও পরকীয়া প্রেমিক হাসিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পরে উর্মির বাবা তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না দিলে থানা থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

এ ঘটনার বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান বলেন, থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর পিতা কোন অভিযোগ না করায় যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের থানায় আনা হয়েছিল তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram