আলমডাঙ্গায় মাটি কাটার অভিযোগে জমির মালিক ও এক্সকেভেটরের দুই ড্রাইভারকে জরিমানা

আলমডাঙ্গায় ফসলি জমির মাটি কাটায় এক্সকেভেটর ড্রাইভারসহ ৪জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১০ মার্চ দুপুরে উপজেলার যমুনা মাঠে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কাটার সময় দুটি এক্সকেভেটর জব্দসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ফসলি জমির মালিকের ম্যানেজারকে ৫০ হাজার ও দুই এক্সকেভেটর ড্রাইভারকে ২৫ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার হালসা এলাকার কুয়েত প্রবাসী আব্দুর রশিদ আলমডাঙ্গার যমুনা মাঠে ৩৬ বিঘা কৃষি জমি ক্রয় করেছেন। সম্প্রতি ক্রয়কৃত জমির মাটি এক্সকেভেটর দিয়ে কেটে বিক্রয় করছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু অভিযান পরিচালনা করে কৃষি জমিতে মাটি কাটার দুটি এক্সকেভেটর ও চালকসহ ৪ জনকে আটক করে। পরে জরিমানা করা হয়। আটকৃতরা হলেন এক্সকেভেটর ড্রাইভার পাবনার আকাশ ও কুষ্টিয়ার জাহাঙ্গীর, ফসলি জমির মালিকের ম্যানেজার বিনোদপুর গ্রামের ওমর আলী ও ডাউকি গ্রামের স্বপন আলী।
ম্যানেজার ওমর আলী জানান, জমির মুল মালিক আব্দুর রশিদ প্রবাসী। তার শ্যালক কুষ্টিয়া ইবি থানার মাগুরা গ্রামের মোহন আলী এ জমি দেখাভাল করেন। মোহনই এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কাটছেন। মোহন জামজামি ইউনিয়নের হোগলারদাড়ি গ্রামের মন্টুর মাধ্যমে কুষ্টিয়া থেকে এক্সকেভেটর ভাড়া করে নিয়ে এসেছেন। দুটি গাড়ি দিয়ে মাটি কাটছেন।
সোমবার(১০ মার্চ) সকালে অভিযান চালিয়ে ফসলি জমিতে মাটি কাটায় জমির মালিকের ম্যানেজার ওমর আলীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কাটার অপরাধে দুই এক্সকেভেটর ড্রাইভারকে ২৫ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু জানান, জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ফেলার কারণে জমির উর্বরতা শক্তি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। অন্যদিকে, পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। জমির উপরিভাগের মাটি একবার কেটে নিয়ে গেলে তা পূরণ হতে কয়েক বছর সময় লাগে। এ সকল মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।