২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই জামায়াতের ২ অ্যাডভোকেট: আগেভাগেই জনসংযোগের সুবিধা পাচ্ছে

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
মার্চ ৮, ২০২৫
67
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

রহমান মুকুল: ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গার দুটি সংসদীয় আসনেই দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। চুয়াডাঙ্গা -২ আসনে দলীয় প্রার্থি হিসেবে জেলা আমির অ্যাড রুহুল আমিন পূর্ব থেকেই মনোনীত ছিলেন। গত ৭ ফেব্রæয়ারি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে দলীয় মনোনীত প্রার্থি হিসেবে জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি অ্যাড মাসুদ পারভেজ রাসেলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।


নাম ঘোষণার পর থেকেই দুটি সংসদীয় আসনের অলিগলি-গ্রাম মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থিদ্বয়। অন্য কোন দলের প্রার্থি না থাকায় ফাঁকা মাঠে বেশ ফুরফুরে মেজাজে গণসংযোগ করছেন তারা। প্রতিদিন ও রাতে গ্রামবাজার ছুটে বেড়াচ্ছেন। দায়িত্বশীল সভাসহ প্রত্যেক ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে সভা-মিটিং অব্যাহত রেখেছেন। অ্যাডভান্স প্রচারণা ও গণসংযোগের সবটুকু সুবিধা আদায়ে তারা সর্বাত্মক চেষ্টারত।


জানা যায়, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী সক্রিয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলটি দ্রæততম সময়ের মধ্যে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাওয়ার আশা করছে। পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।


ইতোমধ্যে শতাধিক আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে, অনুষ্ঠিত হচ্ছে সমাবেশ ও ওয়াজ মাহফিল।


জামায়াত নির্বাচনের জন্য দুই স্তরের কৌশল গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়। প্রথমত, নির্বাচন কমিশনের তপশিল ঘোষণার পর কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। দ্বিতীয়ত, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও অন্তত ১০০ আসনে শক্ত প্রতিদ্ব›িদ্বতার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি আসনকে ‘এ’ ক্যাটাগরি ও ৫০টি আসনকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সাংগঠনিক কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। নির্বাচনের আগে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য হলে কৌশলগত সমন্বয় হতে পারে। তবে ‘এ’ ক্যাটাগরির আসনগুলোতে নিজেদের অবস্থান অটুট রাখবে দলটি। বিএনপির মতো জামায়াতও তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল চায় এবং এ নিয়ে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় রয়েছে।


সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ ও সামাজিক কর্মকাÐের মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চলছে। দলটির সাংগঠনিক কাঠামো আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ভার্চুয়াল প্রচারণার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচিও চলছে। প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সমর্থন বাড়ানোর জন্য কর্মীদের সক্রিয়ভাবে মাঠে নামানো হয়েছে। দলীয় জরিপের ভিত্তিতে জনমানুষের কাছে জনপ্রিয় নেতাদেরই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram