আলমডাঙ্গায় ইটভাটা মালিক সমিতির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্বারকলিপি প্রদান

আলমডাঙ্গায় ইটভাটা মালিক সমিতির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। জিগজাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনে জন্য বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির ডাকে সারা দেশের আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল (৩ মার্চ) মঙ্গলবার আলমডাঙ্গার ইটভাটা মালিক সমিতি এ কর্মসুচী পালন করেন। বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ মঞ্চ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলামের নিকট স্বারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, “ আমাদের উপজেলায় ২২টি ইটভাটায় বহু শ্রমিক কাজ করে জীবনধারণ করেন । এই খাত ধ্বংস হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নই, তবে আমাদের দাবি মানা না হলে ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
স্কারকলিপিতে ৭ দফা দাবী জানানো হয়েছে। ভাটা মালিকদের দাবী গুলো নিম্নরুপ: (১)২০১৩ সনের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনে জিগজাগ ইটভাটা বৈধ পদ্ধতি উল্লেখ থাকলেও উক্ত আইনে কিছু ধারায় 'দুরত্ব নির্দিষ্ট' করণের কারণে দেশের কিছু জিগজাগ ইটভাটার লাইসেন্স ও ছাড়পত্র পাচ্ছেন না। ট্যানেল কিলনের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব কমিয়ে ১ হাজারে পরবর্তে যথাক্রমে ৪০০ মিটার (বসতি এলাকা) ও ৭০০ মিটার (বনাঞ্চল) নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। (২) জিগজাগ ইটভাটায় কোন প্রকার হয়রানি বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না। তা নাহলে আমরা ভ্যাট ট্রাক্স দেওয়া বন্ধ করে দিবো।(৩) কোন ইটভাটা বন্ধ করা হলে সরকারী ভাবে আর্থিক ক্ষতি পূরণ দিয়ে বন্ধ করতে হবে। (৪) মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যায়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল করতে হবে। (৫) পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডিসি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যায়নপত্র বাধ্যতামূলক ভাবে জমা দেয়ার বিধান করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ।(৬) ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষনা দেবার দাবী।(৭) ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রনয়ণ করতে হবে।
কর্মসুচীতে উপস্থিত ছিলেন ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, ও সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবিদুদ্দোজা ক্যাবল মিয়া, ইটভাটা ব্যবসায়ী চাঁন্দ আলী, হাজী খালেক, জাবুর, লিংকন, ওয়াজেদ আলীসহ উপজেলার ২২টি ইটভাটার মালিক ও তাদের শ্রমিকবৃন্দ।