ডাকাতদলের কাছে এখন মূর্তিমান আতঙ্ক আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ

ডাক্সতির ২৪ ঘন্টার ভেতর দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করে আবারও প্রশংসা কুড়িয়েছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
ইতোপূর্বে আলমডাঙ্গা -কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ও বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির ঘটনায় মাত্র ৪ দিনের মধ্যে ডাকাতদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছিল পুলিশ। এই দুই ডাকাতির পর অনতিবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতারের পর একদিকে মানুষ পুলিশকে সমীহ করছে, অন্যদিকে, ডাকাত দলের মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে পান বরোজের শলি বিক্রয় করে বাড়ি ফিরছিলেন গাংনী উপজেলার ভাটপাড়ার সোহেল রানা ও দক্ষিণ তেতুলবাড়ির জাহিদুল ইসলাম। পথিমধ্যে কুলপালা গ্রামের মাঠের ভেতর ৮/১০ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের টলি থামান।
তাদের বেধড়ক পিটিয়ে লক্ষাধিক টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়। গত ১ মার্চ রাতে
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানে নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা যৌথঅভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত কুলপালার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আসামী জাহিদ আলী (৩৫) ও গোপীনগরের বজলুর ছেলে মিলন হোসেন (৩৪) কে গ্রেফতার করেন। এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের নিকট হতে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ১টি লোহার রড ও ১টি ধারালো হেসো উদ্ধার করেন। আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছাপ্রনোদিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।
ইতোপূর্বে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ও বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির ৪
দিনের মধ্যে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করে। এদের ভেতর দুজন বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
এ ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। ডাকাতির ঘটনার পরপরই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ডাকাত চক্রকে গ্রেফতার করতে মাঠে নামে। ডাকাতি মামলা দায়ের হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেততারে সক্ষম হওয়ায়
এলাকার মানুষ অনেকটাই আশ্বস্ত হন। ডাকাতির ৪ দিনের মধ্যে ৫ ডাকাত গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।