আলমডাঙ্গায় শস্যনিরাপত্তা বীমা দাবির টাকা প্রদান

আলমডাঙ্গায় শস্যনিরাপত্তা বীমা দাবির টাকা প্রদান করা হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার আসমানখালী ব্রাঞ্চে ব্র্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসুচির আওতায় এ শস্যনিরাপত্তা বীমা দাবির টাকা প্রদান করা হয়।
জানা যায়, ব্র্যাক বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় আবহাওয়াসুচক বীমা ও এলাকা ফলনসুচক বীমা কার্যক্রম শুরু করে ২০২১ সালে। অতিবৃষ্টি,খরা,তীব্র দাবদাহ, তীব্রশীত, অত্যধিক আর্দ্রতার জন্য আবহাওয়াসুচক বীমা এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ, রোগ-বালাই,ঝড়ো বাতাস. পোকা-মাকড় ইত্যাদি কারণে ফলন কমলে এলাকা ফলনসুচক বীমা মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসুচির আওতায় ব্র্যাক এ দুটি বীমা চালু করেছে। ব্র্যাকের মেহেরপুর আঞ্চলিক অফিসের অধীনে ১৩টি শাখার ৫০৭ জন কৃষক তাদের ১০ শতক জমির উপর বোরো ধানের কৃষি বীমার দাবিকৃত ২ লাখ ১৩ হাজার ৮শ ৩৬ টাকা প্রদান করা হয়।
শস্যনিরাপত্তা বীমা দাবির টাকা প্রদান অনুষ্ঠানে ব্রাকের জেলা কোঅর্ডিনেটর ম্যাক্সি মিলিয়ান রুগার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উদয় রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মর্মান্তিক অভিঘাত সহ্য করতে হয় কৃষকে। ভূপ্রকৃতিগত কারণে বাংলাদেশ যেমন সম্ভাবনাময়, তেমনি সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণও।
কৃষিতে অতি ক্ষরা ও অতি বৃষ্টির নেতিবাচক প্রভাবের সাথে আমরা খুব পরিচিত। পরিচয় আছে বন্যার সাথে। আছে পাহাড়ি ঢলে কিংবা প্রতিবেশি দেশের অবাঞ্চিত জলস্রোতে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায়ই বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়।
কৃষকদের জানমাল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফলে কৃষকরা বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকরা আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। পরের বছর কৃষকরা স্বাভাবিক উৎপাদন বজায় রাখতে পারেন না। ফলে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন। এ ঝুঁকি মোকাবেলায় শস্যনিরাপত্তা বীমা থাকা আবশ্যক।
স্বাগত বক্তব্য দেন ব্র্যাকের এরিয়া ম্যানেজার (দাবি) ইয়ারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের এমএফ ম্যানেজার মাসুম বিল্লাহ, এরিয়া ম্যানেজার (প্রগতি) ডাবলু হাসান, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম, আসমানখালী শাখা ব্যবস্থাপক তৈৗকির আহমেদ।
ব্র্যাকের শস্যনিরাপত্তা বীমা প্রকল্পের ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর মোহাম্মদ শামীমুল হকের উস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসেন, কৃষি বীমা গ্রাহক রামনগর গ্রামের ছালিমা খাতুন, শালিকা গ্রামের নুরুন নাহার, নান্দবার গ্রামের মুসলিমা খাতুন, গাংনী উপজেলার শালদাহ গ্রামের নাজমা খাতুন প্রমুখ।
রামনগর গ্রামের ছালিমা খাতুন, তিনি ব্র্যাকের সদস্য। তিনি জানান,কৃষি বীমার কথা জানতে পেরে তার বোরো ধানের ১০ শতক জমির উপর ১৪৫ টাকা দিয়ে বীমা করেন। সেই বীমার টাকা ব্র্যাক তাকে দিল। এ বছর তিনি আরও বেশি জমির উপর বীমা করবেন বলে জানান।