২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বইমেলা আমাদের মন ও মননকে শাণিত করে-আলমডাঙ্গায় উদ্বোধনকালে ইউএনও

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫
48
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

জাকজমক আয়োজনে আলমডাঙ্গায় ৩ দিনব্যাপী একুশে বইমেলা উদ্বোধন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম। ২০ ফেব্রæয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ওই বইমেলা উদ্বোধন করেন। আলমডাঙ্গা নাগরিক উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার সহযোগিতায় শহীদমিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আলমডাঙ্গা নাগরিক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই বইমেলা উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী সমসের মল্লিক, আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন,আলমডাঙ্গা নাগরিক উন্নয়ন কমিটি পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক রহিদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের যুব বিষয়ক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ হোসাইন টিপু, উপজেলা জামায়াতের আমির প্রভাষক শফিউল আলম বকুল, পৌর আমীর মাহের আলী, উপজেলা ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর জামাল হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা। প্রভাষক একেএম ফারুক হোসেনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উন্নয়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক ডা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহসভাপতি সাংবাদিক আতিয়ার রহমান মুকুল, কোষাধ্যক্ষ সাবেক ব্যাংকার শহিদুল ইসলাম। উদ্বোধন শেষে দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। শেষে উস্তাদ রেজাউল করিম ও পান্না মাস্টারের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সঙ্গীত পরিবেশন করে।

বইমেলা সার্বিক তত্বাবধান করছেন নাগরিক উন্নয়ন কমিটির সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনি চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম পিন্টু, সাংবাদিক শাহ আলম মন্টু, সাংবাদিক হামিদুল ইসলাম আজম, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম রোকন, সাংবাদিক নাজমুল হক শাওন, সাহিত্যিক পিন্টু রহমান, সাহিত্যিক আতিকুর ফরায়েজী।

আলমডাঙ্গা মফস্বলে ধারাবাহিক বইমেলা! ভাবতেই অবাক লাগে। এত দিন শুনে এসেছি বড় বড় শহরে হয় বইমেলা। কিন্তু ইদানিং হঠাৎ মফস্বল এলাকায় বইমেলা।

মূলত: আলমডাঙ্গা মাড়োয়াড়ি প্রধান ব্যবসায়ী সভ্যতা। সেখানে নিয়ম করে প্রতি বছর বই মেলার আয়োজন নিছক কোন ঘটনা নয়। তাছাড়া, মফস্বল এলাকাগুলোয় বই উৎসব কিংবা বইমেলা খুব একটা নজরে পড়ে না। বই পড়াকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে এ বছর আলমডাঙ্গা নাগরিক উন্নয়ন কমিটি একুশে বইমেলার আয়োজন করেছে।

স্বল্প প্রচার-প্রচারের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী একুশে বইমেলা উদ্বোধনের পর থেকে গত রাতেই বইপিপাসু কিছু সংখ্যক নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে। মেলায় প্রকাশনা সংস্থা ও স্থানীয় লেখকদের ৩০টি স্টল ছিল। মফস্বল এলাকায় এ বইমেলার ব্যপ্তি নেহায়েত কম নয়।

জীবন আলোকিত করতে সহযোগিতা করে বই। বই আমাদের মধ্যে জ্ঞান সৃষ্টি করে, দৃষ্টিভঙ্গিকে মনুষ্যত্বের রূপ দেয়, বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের আগ্রহী ও কৌতূহলী করে তোলে, নতুন চিন্তাচেতনার বীজ বপন করে আলোর পথ দেখায়। আমাদের যোগ্যতর করে তোলে। বই পড়ার মাধ্যমে মেধা ও মনন শাণিত হয়। সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগায় বই। বই আছে বলেই জ্ঞান-বিজ্ঞান এত সম্প্রসারিত হচ্ছে।

আগামীকাল থেকেই বইপিপাসুদের পদচারণে মুখরিত থাকে মেলা চত্বর। মেলাকে কেন্দ্র করে লেখক- লেখিকা-পাঠক-প্রকাশকেরা অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।

একটি বইমেলায় পাঠক যেমন তাঁর পছন্দের বইটি খুঁজে নিতে পারেন, ঠিক তেমনি একজন লেখকও তাঁর প্রকাশিত বইটি সম্পর্কে সরাসরি পাঠকের প্রতিক্রিয়া জানতে পারেন। প্রত্যেককে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে হলে, নতুন পাঠক সৃষ্টি করতে হলে বইমেলার বিকল্প নেই।

ভাষার মাসে বইমেলার আয়োজন ঐতিহ্য হবে আলমডাঙ্গার। এ প্রত্যাশা আলমডাঙ্গাবাসীর।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram