আলমডাঙ্গায় শয়তান নিধন অভিযানে ৫ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

দেশে চলমান শয়তান নিধন( ডেভিল হান্ট) অভিযানে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ৫ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলেন বাড়াদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান (৪০), ও বাড়াদী ইউনিয়নের ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মিল্টন আলী রিন্টু, ছাত্রলীগ নেতা সাকিব হাসান, জামজামি ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক জামিরুল ইসলাম ও ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম। এদেরকে ২০২৩ সালে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও বোমা হামলা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার শামসুজ্জামান বাড়াদী গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুল হোসেনের ছেলে, মিল্টন আলী রিন্টু(২৬) একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে, সাকিব হাসান একই গ্রামের অহিদুল ইসলামের ছেলে, জামিরুল ইসলাম (৩৫) জামজামি ইউ.পির নারায়ণপুরের মৃত বিশারত আলীর ছেলে ও রেজাউল করিম (৩৭) ভাংবাড়িয়া গ্রামের ইখতার আলী মন্ডলের ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ দেশে চলমান ডেভিল হান্ট অভিযান চালিয়ে গত রবিবার দিনে ও রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার তাদেরকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি বেলা সাড়ে ৩টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত ইউনিয়ন পদযাত্রার কর্মসুচি থাকায় মহাসিন আলীসহ ৩০/৪০ জন বিএনপি নেতাকর্মি পদযাত্রায় অংশ গ্রহণের জন্য যাচ্ছিলেন। খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচকমলাপুর গ্রামের হায়দার মোড়ে পৌঁছলে আওয়ামীলীগের উশৃংখল নেতা-কর্মিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মারপিট করে ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। ৫ টি মোটরসাইকেল কেড়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় লক্ষীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মহাসীন আলী বাদী হয়ে ৯ নভেম্বর রাতে ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তবে, যুবলীগ নেতা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর এন্তার অভিযোগ রয়েছে। তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা থাকা অমূলক নয় বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।