কলেজ মাঠে ব্রাইট স্কুলের ক্রীড়া অনুষ্ঠানের অনুমতি : অধ্যক্ষ বললেন ভুলে হয়েছে

আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ, শহীদ মিনার ও ব্যায়ামাগারের জমি জবরদখলের ঘটনায় জড়িয়ে পড়া ব্রাইট মডেল স্কুলকে কলেজ মাঠ ব্যবহার করতে দেয়ায় তুমুল বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের জমি হারিয়ে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার উদ্ধার কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ জনতা গতকাল কলেজ অধ্যক্ষের রুমে চড়াও হন। তীব্র বাদানুবাদের পর কলেজ অধ্যক্ষ ভুল স্বীকার করে সবার ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন। এসময় ব্র্রাইট স্কুলকে কলেজ মাঠ ব্যবহার করতে অধ্যক্ষকে পরামর্শ দেওয়ায় কলেজের দুই শিক্ষক যারা ফ্যাসিস্ট সরকার দালাল হিসেবে পরিচিত সেই মহিতুর রহমান ও গোলাম সরোয়ার মিঠুর দিকে মারমুখী হয়ে ওঠেন ব্যায়ামাগার উদ্ধার কমিটির নেতৃবৃন্দ। গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে অধ্যক্ষের রুমে এসব ঘটনা ঘটে।
কলেজসূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের গা ঘেষে ব্রাইট মডেল স্কুল নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন জাকারিয়া হিরো। পতিত সরকারের আমলে তিনি সরকারি কলেজের জমি,শহীদ মিনারের জমি ও আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার জবরদখল করে ইতোমধ্যে ভুমি দস্যু নামে পরিচিতি পেয়েছেন। এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। এত কিছুর পরও আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: মফিজুর রহমান ব্র্রাইট স্কুলকে কলেজ মাঠ ব্যবহার করতে অনুমতি দেন। যে ব্রাইট স্কুলের মালিক কলেজের জমি দখলের সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালাচ্ছে তাকেই কলেজ মাঠ ব্যবহার করার অনুমতি দেন তিনি। ব্রাইট স্কুলের নিজস্ব মাঠ না থাকায় কলেজ মাঠে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে কলেজ মাঠে। এর প্রতিবাদে ফুঁসতে থাকেন কলেজের শিক্ষকসহ ব্যায়ামাগার উদ্ধার কমিটির নেতৃবৃন্দ ও শহরের সাধারণ জনতা। কলেজের অধ্যক্ষ কারো সাথে কোন আলোচনা না করেই ব্রাইট স্কুলকে মাঠ ব্যবহার করতে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ উঠে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত প্রভাষক মহিতুর ও মিঠু অধ্যক্ষকে প্ররোচিত করেছে।
গতকাল দুপুরে ব্যায়ামাগার উদ্ধার কমিটির নেতৃবৃন্দ কলেজে চড়াও হলে তীব্র হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়েন কলেজ শিক্ষক মহিতুর ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিঠু। একপর্যায়ে ব্রাইট স্কুলকে কলেজ মাঠ ব্যবহার করতে দেয়া ভুল হয়েছে বলে অধ্যক্ষ স্বীকার করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যায়মাগার উদ্ধার কমিটির আহবায়ক ইকবাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুল করিম চনচল, আব্দুর রশিদ মঞ্জু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম মাস্টার, সহকারী অধ্যাপক আসিফ জাহান, জেলা যুবদল নেতা মাগরিবুর রহমান, সাহিত্যিক পিন্টু রহমান, প্রভাষক খাইরুল ইসলাম, পৌর বিএনপি নেতা মোখলেছুর রহমান মিলন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফাহমিদুর রহমান মুন, হাসিবুল, সুলতানুল আরেফিন তাইফু, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাহিদ হাসান শুভ, সদস্য সচিব আল ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আতিক হাসনাত রিংকু প্রমুখ।