আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে গাছ ফেলে ও বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির ঘটনায় বাইতুলের পর লিটন গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে গাছ ফেলে ও বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ বকসিপুর গ্রামের লিটন আলীকে গ্রেফতার করেছে। ডাকাতি ঘটনায় মামলা রজুর মাত্র তিন ঘন্টার মধ্যে মাজু গ্রামের বাইতুলকে ও পরে লিটন আলীকে গ্রেফতার করায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।
ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারকৃত লিটন আলী(৩২) উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বকসিপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। এরআগে একই ইউনিয়নের মাজু গ্রামের মৃত বোরহান আলী বিশ্বাসের ছেলে বাইতুল ইসলাম (৪৫) কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
গ্রেফতারের পর তারা দুজনই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়ে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সড়কে গাছ ফেলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গণডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতদ্ল। আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের শ্রীরামপুর জগন্নাথপুর এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘণ্টাব্যাপী লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স, বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। খবর পেয়ে রাতেই আলমডাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। ডাকাতির শিকার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, পরপর চারটি বোমার বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ডাকাতদল একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি অ্যাম্বুলেন্স, ৬টি ট্রাক, একটি পরিবহণ ও একটি পিকআপ আটকে ডাকাতি করে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের নওদাপাড়া জগন্নাথপুর গ্রামের মাঝে এ ঘটনা ঘটে। রাত ২টা থেকে প্রায় ৩টা পর্যন্ত তান্ডব চালায় ডাকাতচক্র। কয়েক বছর আগে ওই রাস্তায় মাঝে মাঝেই রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি হতো। বেশ কিছুদিন ওই রাস্তায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। আলমডাঙ্গা সাদা ব্রিজ থেকে শ্রীরামপুর মোড় পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার রাস্তা একটি ইজিবাইক নিয়ে পুলিশ উিউটি করে।
ডাকাতির কবলে পড়া ড্রাইভারা আরও জানান, পুলিশের গাড়ির হুডারের শব্দ শুনে ডাকাতদলের সদস্যরা মাঠের মধ্যে নেমে যায়। যার কারণে সব গাড়ির ড্রাইভারের নিকট থেকে টাকা নিতে পারেনি।
এদিকে, এই ডাকাতির পর স্বাভাবিকভাবে জনমনে ভীতি বিরাজ করছিল। আলমডাঙ্গা -কুষ্টিয়া সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সারারাত এ আঞ্চলিক সড়কে নানা যানবাহন চলাচল করে। অ্যাম্বুলেন্সসহ রোগী বহনকারী যানবাহন বাধ্য হয়ে রাতেও চলাচল করে থাকে। ফলে এ ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। ডাকাতির ঘটনার পরপরই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ডাকাত চক্রকে গ্রেফতার করতে মাঠে নামে। ডাকাতি মামলা দায়ের হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় বাইতুলকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশের নিকট ডাকাতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
এরপর ২৯ জানুয়ারি দিনগত রাতে বকসিপুর গ্রামের লিটন আলীকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিটন আলীও পুলিশের নিকট ডাকাতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এত দ্রæততম সময়ে ডাকাতি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকার মানুষ কিছুটা আশ্বস্ত।