আলমডাঙ্গায় সড়কে গাছ ফেলে ও বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতি ঘটনায় বাইতুল গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে গাছ ফেলে ও বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির অভিযোগে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ডাকাতি ঘটনায় মামলা রজুর মাত্র তিন ঘন্টার মধ্যে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ততার দাবি করে বাইতুলকে গ্রেফতার করায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সর্বাত্বক অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গার মাজু গ্রামের মৃত বোরহান আলী বিশ্বাসের ছেলে বাইতুল ইসলাম (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের শেষে সংশ্লিষ্ট মামলায় বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সড়কে গাছ ফেলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গণডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতদ্ল। আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের শ্রীরামপুরে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘণ্টাব্যাপী লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স, বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়। খবর পেয়ে রাতেই আলমডাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। ডাকাতির শিকার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, পরপর চারটি বোমার বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ডাকাতদল একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ দুটি অ্যাম্বুলেন্স, ৬টি ট্রাক, একটি পরিবহণ ও একটি পিকআপ আটকে ডাকাতি করে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের নওদাপাড়া জগন্নাথপুর গ্রামের মাঝে এ ঘটনা ঘটে। ২৭ জানুয়ারি দিনগত রাত ২টা থেকে প্রায় ৩টা পর্যন্ত তান্ডব চালায় ডাকাতচক্র। কয়েক বছর আগে ওই রাস্তায় মাঝে মাঝেই রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি হতো। বেশ কিছুদিন ওই রাস্তায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। আলমডাঙ্গা সাদা ব্রিজ থেকে শ্রীরামপুর মোড় পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার রাস্তা একটি ইজিবাইক নিয়ে পুলিশ উিউটি করে। এ মাথা থেকে ওই মাথায় গেলে প্রায় ১ ঘন্টা সময লাগে ঘুরে আসতে।
ডাকাতির কবলে পড়া ড্রাইভারা আরও জানান, পুলিশের গাড়ির হুডারের শব্দ শুনে ডাকাতদলের সদস্যরা মাঠের মধ্যে নেমে যায়। যার কারণে সব গাড়ির ড্রাইভারের নিকট থেকে টাকা নিতে পারেনি।
এদিকে, এই ডাকাতির পর স্বাভাবিকভাবে জনমনে ভীতি বিরাজ করছিল। আলমডাঙ্গা -কুষ্টিয়া সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সারারাত এ আঞ্চলিক সড়কে নানা যানবাহন চলাচল করে। অ্যাম্বুলেন্সসহ রোগী বহনকারী যানবাহন বাধ্য হয়ে রাতেও চলাচল করে থাকে। ফলে এ ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। ডাকাতি মামলা দায়ের হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সফল হয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশের নিকট ডাকাতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলেও জানা গেছে। এত দ্রæততম সময়ে ডাকাতি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকার মানুষ কিছুটা আশ্বস্ত।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, ডাকাতির ঘটনায় বাইতুল নামের এক ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।