আলমডাঙ্গায় ডাকাত, ছিনতাইসহ একাধিক মামলার আসামী সাহাবুল গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামের ভ্যানচালককে কুপিয়ে জখম করে ভ্যান ছিনতাইসহ একাধিক মামলার আসামী গোবিন্দপুরের সাহাবুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে রাতে নিজ এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদক, ছিনতাই ও ডাকাতির ৫ টি বেশি মামলা রয়েছে বলে থানাসূত্রে জানা যায়।
জানা যায়, গত বছর ৩ এপ্রিল রাতে আলমডাঙ্গার কুমারী গ্রামের ইশা (৫৪) পাখিভ্যান নিয়ে ভাড়া মারার জন্য আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। রাত্র প্রায় সোয়া দুটোর দিকে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে অজ্ঞাতনামা দু ব্যক্তি আলমডাঙ্গার ফরিদপুর দোহারপাড়া যাওয়ার জন্য ভ্যানচালক ইশা’র সাথে ১০০ টাকা ভাড়া ঠিক করেন। তিনি যাত্রীদের নিয়া রাত আড়াইটার ফরিদপুর দোহারপাড়া জোহা ঈদগাহ মাঠের সামনে পৌঁছলে অজ্ঞাত ব্যক্তি ২ জন কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে পাখিভ্যান নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভ্যানচালক ইশার ছেলে রাজন আলী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ আসামীদের গ্র্রেফতার ও পাখিভ্যান উদ্ধারের জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালায়। অভিযানের ধারাবাহিকতায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গত ১৩ এপ্রিল রাতে স্টেশনে যান। সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে তল্লাসি করেন।
সে সময় আসামী কানা সুমন ও রেজাউল কৌশলে পালিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের আটক করতে অভিযান চালায়। সে সময় কানা সুমন ইট দিয়ে এক এস আই- র মাথায় আঘাত করে। তাকে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যেতে চাইলেও অন্যান্য ফোর্স আটক করে তাকে।
কানা সুমন আলমডাঙ্গা সোনাপট্রির মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও রেজাউল করিম আলমডাঙ্গা স্টেশনপাড়ার ইয়াছিন আলীর ছেলে।
পরদিন তারা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় ভ্যান ছিনতাইসহ সকল ঘটনার স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। গত ১৪ এপ্রিল তারা আদালতে এ জবানবন্দী প্রদ্দান করেন। তাছাড়া, আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কানা সুমন আরও স্বীকার করেছিলেন যে, চালককে কুপিয়ে জখম করে ভ্যান ছিনতাই করার ঘটনায় তাদের সাথে গোবিন্দপুরের আইজুদ্দীনের ছেলে সাহাবুল ছিল।
এমনকি, তার দেওয়া তথ্য মতে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার পোড়াদহ এলাকা হতে ছিনতাই করা পাখিভ্যানটি উদ্ধার করা হয়।