আলমডাঙ্গায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে এক পাগলাটে ব্যক্তিকে

আলমডাঙ্গায় ৩ শিশুর হাতে টাকা দিয়ে হাতধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ডম্বলপুর গ্রামবাসী। ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে ডম্বলপুর-পাটিকাবাড়ি সীমানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পাগলাটে ওই ব্যক্তি নিজের পরিচয় ঠিকমতো বলতে পারছেন না।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা-পাটিকাবাড়ি জিকে ক্যানেলে পানি না থাকায় ক্যানেলের ভিতর ডম্বলপুর গ্রামের আসিফুর রহমানের ছেলে আবির হাসান (৬), একই গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে জান্নাতুল (৬) ও রিয়াজ আলীর ছেলে শাকিব (৬) খেলছিল। এসময় মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি তাদের কাছে গিয়ে তিন শিশুর হাতে টাকা দিয়ে তাদের হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় জান্নাতুলের মা সালমা খাতুন দেখতে পেয়ে দ্রæত ওই ব্যক্তি হাত থেকে শিশুদের কেড়ে নেন। সালমা খাতুন তাকে বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান:"আমার বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছি।"
তখন সালমা খাতুন চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে যান। ছেলে ধরা সন্দেহ করে ওই ব্যক্তিকে ধরে গণপিটুনি দেয়। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সংভঅধ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই ব্যক্তির আচারণ কিছুটা পাগলের মত। তিনি নিজের নাম পরিচয় ঠিকমতো বলতে পারছেন না। তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলছেন। অনেকে পাগলের ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকতে পারেন বলেও সন্দেহ করছেন।
পুলিশ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ও খাবার খাওয়ায়ে কাস্টডিতে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, ডম্বলপুর গ্রামের ৩টি শিশু বাড়ির পাশে ক্যানেলের মধ্যে খেলাধুলা করছিল। অপরিচিত ব্যক্তিকে শিশুদের কাছাকাছি রাস্তার উপর ঘোরাফেরা করতে দেখে তাকে ছেলে ধরা সন্দেহে এলাকাবাসি আটক করে। তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত জনতা তাকে গণধোলাই দেয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাকে অস্বাভাবিক প্রকৃতির মনে হচ্ছে। প্রকৃত সত্যতা উদঘাটনের জন্য অনুসন্ধান অব্যাহত আছে।