আলমডাঙ্গা কুমারী গ্রামের সদস্য তালাকপ্রাপ্ত এক যুবতী উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
আলমডাঙ্গা কুমারী গ্রামের সদস্য তালাকপ্রাপ্ত এক যুবতী উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নিজ ঘরের আড়ার সাথে উড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে।
গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যাকারী যুবতী বৈশাখী খাতুন (১৯) কুমারী গ্রামের পূর্বপাড়ার রতন আলীর মেয়ে।
জানাগেছে, উপজেলার কুমারী গ্রামের পূর্বপাড়ার রতন আলীর মেয়ে বৈশাখী খাতুন(১৯)“র প্রায় ৫ মাস পূর্বে বেলগাছী গ্রামের শাকিল নামের একটি ছেলে সাথে বিবাহ হয়।
গত কয়েকদিন পূর্বে বৈশাখী ও শাকিলের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বৈশাখীর পিতা রতন আলী দিন মুজুর। শনিবার বিকেলে বাড়িতে কেউ নাই। এই সুযোগে সদ্য তালাকপ্রাপ্ত বৈশাখী তার নিজ ঘরের আড়ার সাথে উড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৈশাখীর চাচাতো ভাই সোহাগ তাকে খুজতে আসে। ডেকে না পেয়ে বৈশাখীর ঘরে খোজ করতে গেলে দেখতে পায় সে ঘরের আড়ার সাথে উড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থা ঝুলছে। সোহাগের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। তাকে নামিয়ে দেখতে পায় সে মারা গেছে। এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে বৈশাখীর পিতা রতন আলী।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, কুমারী গ্রামে সদ্য তালাক প্রাপ্ত এক যুবতী গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যাকারি বৈশাখীর পিতা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ সুরতাহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে হয়েছে। আজ রবিবার ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।