আলমডাঙ্গা বাদেমাজু গ্রামের সবুজ হত্যা মামলার আসামী ইসলাম আলীকে পুলিশ গ্রেফতার
আলমডাঙ্গা বাদেমাজু গ্রামের সবুজ হত্যা মামলার আসামী ইসলাম আলীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ২৫ নভেম্বর সোমবার দিনগত রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে গোবিন্দপুর নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
সবুজ হতা মামলায় গ্রেফতারকৃত ইসলাম (৩৫) গোবিন্দপুর মাঠপাড়ার মৃত সেকেন্দার মন্ডলের ছেলে। সে কাঠের ফার্নিসারের দোকানে রং মিস্ত্রীর কাজ করে। গতকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর-কাশিপুর সড়কের গজারিয়া মাঠের নির্জন মেহগনি বাগান থেকে পুলিশ ১৩ নভেম্বর সকালে বাদেমাজু গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সবুজ আলীকে মোটরসাইকেল চাপা দেওয়া অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করা লাশ উদ্ধার করে । সবুজ পুরাতন মোটর সাইকেল কেনা বেচার ব্যবসা করতো। ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় সবুজ বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন জনৈক অনিকের ফোন পেয়ে। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন সকালে পোড়ানো লাশ উদ্ধার হয়। এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে গত ১৪ নভেম্বর এজাহার দায়ের করেন নিহত সবুজের পিতা জয়নাল আবেদীন।
নৃশংস এ হত্যাকান্ডের মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে হত্যাকান্ডে জড়িত মাস্টারমাইন্ডসহ দুজনকে গ্রেফতার করে হত্যা রহস্য উন্মোচনের সাফল্য অর্জন করায় ও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করায় পুলিশ সুপারের বলিষ্ঠ তত্বাবধান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে থানা পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন এজেন্সির তৎপরতা, এক কথায় অসাধারণ টিমওয়ার্কের কারণে প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ প্রশাসন। ৫ আগস্টের পর পর পুলিশের প্রতি মানুষের যে অনাস্থা তৈরি হয়েছিল, সবুজ হত্যাকাÐের মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে জড়িতদের আটক ও মোটিভ উদঘাটনের সাফল্যে সেই নেতিবাচকতা ঊবে গেছে।
হত্যাকান্ডের পর জহুরুল ইসলাম, সাগর আলীকে আটক করা হয়। সাগর আদালতে হত্যাকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তার স্বীকারুক্তিতে পরে পাপ্পু নামে এক যুবক ও শেষে ইসলামকে গ্রেফতার করল পুলিশ।