বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গনি বিশ্বাস আর নেই
আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টুর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল গনি বিশ্বাস মারা গেছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ২৫ নভেম্বর সকাল ১০ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। তার আগে গত ২৩ নভেম্বর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে দ্রæত উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা কুমারী গ্রামের মৃত খবিরউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি(৮০) । তিনি কুমারী ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টুর পিতা। তিনি ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের সময় মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিন। স্বাধীনতা পরবর্তিতে তিনি কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছিলেন। তিনি বেশ কয়েক বছর বার্ধক্য জনিত রোগে ভ‚গছিলেন। গত ২৩ নভেম্বর তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে দ্রæত উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে মারা যান। দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণির লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। তার আগে জাতীয় পতাকায় আচ্ছাদিত মরদেহে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গার্ড অব অনার প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু, থানার পুলিশ পরির্দশক (অপারেশন) আজগার আলী। বাদ এশা জানাযা নামাজে উপস্থিত চিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনি মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসাহক আলী ফরজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শামসুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর, কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, আজিজুল হক মাস্টার, হাজী মোহাম্মদ মুসা হক, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান, সুকসান আলী, শরিফুল ইসলাম, আইনাল হক, বায়েজিদ, ওহিদুল ইসলাম, মরহুমের সন্তান আবু সায়েম রিপন, রাজিব আহমেদ, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মজনু রহমানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি মৃতুকালে স্ত্রী, ৩ পুত্র ও তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকলেল নিকট দোয়া চেয়েছেন বড় ছেলে আবু সাঈদ পিন্টু।