পুলিশের প্রতি পূর্ব ধারণা ত্যাগ করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে-- আলমডাঙ্গা থানার ওসি
ক্রমশ: দৃশ্যমান হচ্ছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের কর্মতৎপরতা। উপজেলার সবগুলি ফাঁড়ির পুলিশিং কার্যক্রম গতিশীল করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে অফিসার ইনচার্জ।
অন্যান্য থানা থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের গতিশীল কর্মকান্ড চোখে পড়ার মত। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে থানা এলাকায় মাদকসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধ দমনে পুলিশিং কার্যক্রম গতিশীল করা হয়েছে। সব পুলিশ ফাঁড়িতে এ ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে সারাদেশের ন্যায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের কোন কর্মতৎপরতা ছিল না। পুলিশিং কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে থানা এলাকায় মাদক, চুরি, ছিনতাইসহ নানা প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পায়। গত ১৬ অক্টোবর থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ যোগদানের পর থেকে পুলিশের কর্মতৎপরতা শুরু হয়েছে।
দেখা গেছে, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে থানার সকল অফিসার ফোর্স পুলিশিং কার্যক্রমের গতিশীলতা অবাক করার মত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা থানা এলাকায় মাদকসহ সকল ধরনের অপরাধ দমনে কাজ করছে। উপজেলার সকল ফাঁড়িতে হুটহাট উপস্থিত হচ্ছেন অফিসার ইনচার্জ। রোডে থাকা, রোডের ছিন্ততাই চক্রের অপচেষ্টা নস্যাৎ করতে, মাদক স্পটগুলোতে হানা দিতে, দাগি অপরাধিদের সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করতে, মাঠের সেচপাম্প চোর ও গরুচোর সিন্ডিকেট যাতে সক্রীয় হতে না পারে তার জন্য নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, "মাদক সব ধরনের অপরাধের উৎস। মাদকের সাথে কোন আপোষ নেই। মাদক নিয়ন্ত্রণ হলে আলমডাঙ্গা থানা এলাকা থেকে উল্লেখযোগ্য হারে অপরাধ কমে যাবে। মাদক ব্যবসার সাথে যেই জড়িত থাক না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আলমডাঙ্গা থানা এলাকায় কোন মাদক কেনাবেচা চলবে না।"
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তি পরিস্থিতিতে পুলিশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এ সমস্ত চ্যালেঞ্জ উত্তরণের জন্য তিনি থানা ও ফাঁড়ি পুলিশকে জনতার আস্থার প্রতিকে পরিণত করতে চান। জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশের সেবা পৌঁছে দেয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করেন। পুলিশের সেবার মান কাঙ্খিত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের নিজেদের শৃংখলা নিশ্চিত করা হবে বলেও মন্তব্য করেন। যে কোন প্রকার দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহিষ্ণুতা দেখাবেন বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পুলিশের কর্মকান্ডে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশকে যেমন সমাজের সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে ঠিক তেমনিভাবে সমাজের সকল অংশীজনকে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এবং অপরাধ দমনে পুলিশের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবাইকে পুলিশের প্রতি পূর্ব ধারণা ত্যাগ করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।