ভাংবাড়িয়া ভোগাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিদের যাতায়াতের পথের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ
হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ভোগাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের পথে বাঁশের বেড়ার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলামের নির্দেশনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসুর নেতৃত্বে সোমবার ১৮ নভেম্বর বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথের ওই প্রতিবন্ধকতা দূর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব, আসমানখালী পুলিশ ক্যাম্পের টু-আইসি এএসআই শাহরিয়ার, মহিলা মেম্বর মরিয়ম খাতুন প্রমুখ। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও-এসি ল্যান্ড।
জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথ প্রায় ৩/৪ মাস পূর্বে বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছিলেন ওই গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডল ও আয়ুব আলী। ফলে বিদ্যালয়টির প্রায় দেড় শ' কোমলমতি শিক্ষার্থীকে প্রতিনিয়ত পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড়ের ভেতর দিয়ে অথবা বিভিন্ন ব্যাক্তির বাড়ির ভেতর দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হতো। স্থানীয়ভাবেও অনেক চেষ্টা করেও সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না। তারা যাতায়াতের রাস্তার জমি দাতার নিকট থেকে কিনে নিয়েছেন দাবি তুলে ওই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক সমস্যাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিতভাবে অবহিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম অবহিত হওয়ার পর গতকাল সোমবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসুকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সমাধানের পরামর্শ দেন। তিনি দখলবাজ দুজনকে জমি ক্রয়ের দলিল দেখাতে নির্দেশ দিলে তারা দেখাতে পারেননি। পরে তোপের মুখে তারা নিজেরাই বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথের বেড়া সরিয়ে নেন।
ভোগাইল বগাদী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দেলোয়ার জাহান ঝন্টু জানান, "সমস্যাটি বেশ কিছুদিনের। স্থানীয়ভাবে মীমাংসা সম্ভব হয়নি। শেষাবধি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমাধান হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন প্রশংসাযোগ্য উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য এলাকার মানুষ কৃতজ্ঞ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার উভয়ের প্রতি আমরা এলাকাবাসী সন্তষ্ট।"