আলমডাঙ্গার কুমারী ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৬: মাদকদ্রব্যসহ বিপুল পরিমাণ কম্বল উদ্ধার
খোদ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে বসে মাদক বিক্রির অভিযোগে আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পিন্টুসহ ৬ অনুচরকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। গত ৪ দিনগত অক্টোবর ভোরে কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের বিল্ডিং -এ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের নিকট থেকে মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজা, মাদক সেবনের সরঞ্জাম ও কন্ডোম, হুক্কা, খেলনা পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ সরকারি কম্বল উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকের পর তাদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন-কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদ পিন্টু, পিন্টুসহ তার ঘনিষ্ঠ অনুচর হিসেবে পরিচিত একই গ্রামের হাশেম মালিথার দুই ছেলে মেহেদী হাসান ও রাজা বাবু, রইচ উদ্দীনের ছেলে শাহজাহান, কামালপুরের আজিজুল ইসলামের ছেলে বাপ্পি রহমান ও গোবিন্দপুর মাঠপাড়ার এবং কুমারী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে সোহেল। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পিন্টু চেয়ারম্যানের দুই সহোদর আবু সায়েম রিপন ও রাজিবকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় ঘটনাস্থল ইউনিয়ন পরিষদ বিল্ডিং"র দোতলার কক্ষ থেকে ২ বোতল রয়েল মদ, (বড়-০১, ছোট-১) খালি, ৮ বোতল ফেনসিডিল (৫ টি খালি ও ৩টি ভরা), খেলনা পিস্তল, ১টি বড় দা, ২ টি হুক্কা, ৪৪ টি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট কৌটার ভেতর), ইয়াবা ও হিরোইন খাওয়ার আইটেম, নগদ ১২৮৬০ টাকা ও ১৫০ টি সরকারি কম্বল উদ্ধার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু চেয়ারম্যানের স্বীকারোক্তি মোতাবেক অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নীভতলা থেকে কম্বল উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টুকে সরকারি ত্রাণের কম্বল আত্মসাৎ করা মামলা ও বাকী ৫ জনকে মাদক মামলায় জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে, এলাকাসূত্রে জানা গেছে, আটক বাপ্পী ও সোহেল এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী। তারা নিয়োমিত রাতে ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের দোতলায় মজমা বসিয়ে মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রি করতো। সাধারণ মানুষ প্রবেশ করার সাহস দেখাতো না।