আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার পুণরুদ্ধার কমিটির বিক্ষোভ সমাবেশ
আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার পুণরুদ্ধার কমিটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। গতকাল ৩ নভেম্বর দুপুরে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর ঘুরে আলিফ উদ্দীন মোড়ে সমাবেশ করে। ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরো কর্তৃক দখল করে নেওয়া ব্যায়ামাগার পুণরুদ্ধারে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মাবনবন্ধনে বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগারের জমি উদ্ধার কমিটির আহবায়ক ইকবাল হোসেন, ব্যায়ামাগারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মহিউদ্দিন, ব্যায়ামাগারের জমি উদ্ধার কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হাজী খোঃ এ কে. আজাদ, যুগ্ন আহ্বায়ক হাবিবুল করিম চলচল, এমদাদ হোসেন, মঞ্জু রশীদ, বিএনপি নেতা রেজাউল হক, মুন হোসেন, খন্দকার হাসিব, মুন্নি, জনি, সুমন, তন্ময়, আকাশ, ব্যায়ামাগারের সদস্য খন্দকার রকিবুল ইসলাম রিয়েল, খন্দকার রাজিব, ব্যায়ামাগারের প্রতিষ্ঠাতা ইসলাম খানের ছেলে আব্রাহাম খান ডন, সাদ্দাম খান, সুলতানুল আরেফিন তাইফু, জাহিদ হাসান, সানি, সাগরসহ কয়েক শতাধিক ছাত্র-জনতা।
বক্তারা জাকারিয়া হিরোকে শহরের সবচে বড় ও ঘৃণিত ভূমি দস্যু আখ্যায়িত করে বলেন, আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার ছিল খুলনা বিভাগের সবচে প্রশিদ্ধ ক্লাব। প্রতি বছর বেসামরিক পর্যায়ে দেশের ভেতর এই ক্লাব জাতীয় প্রতিযোগিতায় কৃতিত্ব অর্জন করে চুয়াডাঙ্গা -আলমডাঙ্গার মুখ উজ্জ্বল করেছে। এই ব্যায়ামাগার ছিল আলমডাঙ্গাবাসীর সার্নজনীন সম্পদ।
ব্যায়ামাগার পুনরুদ্ধার করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা আরও বলেন, প্রায় ৪৪ বছর আগে আলমডাঙ্গার ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই সময় থেকে আলমডাঙ্গার ঐতিহ্য বহন করে আসছিল এ ব্যায়ামাগার। মাত্র কয়েক বছরেই অনিয়ম-দুর্নীতির খুলনা বিভাগে ক্রীড়া জগতে অনন্য সংগঠন হয়ে উঠেছিল আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার। আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগারের সদস্যরা ইতোপূর্বে খুলনা বিভাগের হয়ে ৬ বার স্বর্ণপদক অর্জন করেছে। ১৯৮৫ সালে ব্যায়ামারের নামে জমি রেজিষ্ট্রি করা হয়। ক্রয়কৃত জমিতে একতলা পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। নির্মাণে একাধিকবার সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ভূমিদস্যু হিরো আওয়ামীলীগ দলীয় এমপি ও কিছু নেতা ও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ব্যায়ামাগার আত্মসাৎ করেছে। বিল্ডিং ভেঙ্গে ফেলেছে। সেখানে ৬ তলা বিল্ডিং নির্মাণ করেছে। ৪ লক্ষাধিক টাকার গাছ বিক্রি করে নিয়েছে। আলমডাঙ্গা কেন্দ্রিক ভূমিদস্যু চক্রের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আলমডাঙ্গা পৌর ভুমি অফিস ও এক কূচক্রী এক উকিল বলে অভিযোগ তোলা হয়।
আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার আলমডাঙ্গাবাসীর সার্বজনীন সম্পদ ও গর্ব দাবি করে ব্যায়ামাগার পূণরুদ্ধারে বক্তারা প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন। প্রশাসন সদর্থক পদক্ষেপ না নিলে আলমডাঙ্গাবাসী তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান পূণরুদ্ধার নিজেরাই করে ছাড়বে। তারা যে কোন মূল্যে অবৈধ দখলদার ভূমিদস্যুর নিকট ব্যায়ামাগার উদ্ধারের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।