১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতারণার বিচার চেয়ে মঞ্জুর আলীর সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ২৮, ২০২৪
102
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


জমি বিক্রির কথা বলে প্রতারণা করে নেওয়া টাকা ফেরত না দিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর পর মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আলমডাঙ্গার খেজুরতলা গ্রামের মঞ্জুর আলী। যিনি আলমডাঙ্গা শহরে অবস্থিত ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক। তিনি ২৭ অক্টোবর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার সাথে করা প্রতারণার বিচার দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেন।


লিখিত সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জুর আলী উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে শ্বশুরের দেওয়া আমার (মঞ্জুর আলী) স্ত্রী ও তার বোনদের নামে বাড়ির সম্পত্তির অংশ বিক্রির ঘোষণা দিলে পাঁচলিয়া গ্রামের ওমর মন্ডল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি ২ লক্ষ টাকা বায়নানামা করেন। এ বিষয়টি জানার পর রায়সা গ্রামের মৃত শফিউল ইসলামের ছেলে মোঃ এস, এ হৃদয় আমাকে এনএসআই'র অফিসার পরিচয় দিয়ে পিস্তল উচিয়ে ভয় দেখিয়ে জমির বায়না ফেরত দিতে বলে । আমি রাজি না হওয়ায় তিনি বলেন যে তিনি গোয়েন্দা বিভাগে আছেন এবং এমপি সোলায়মান হক সেলুন জোয়াদার তাকে পৌর মেয়র গনু মিয়ার ভোটের জন্য এখানে নিয়ে এসেছেন। টাকা ফেরৎ না দিলে আমাকে হারদী হাসপাতাল থেকে বদলী করে দেওয়াসহ নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন।


পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেক বুঝিয়ে জমির ক্রেতা মোঃ ওমর আলী ভাইকে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করে । টাকা ফেরৎ দিলে সেদিনই জমি রেজিষ্ট্রী করে দিতে হবে বলে চাপ সৃষ্টি করে। অনেক বুঝিয়ে ২৫/০৩/২০২০ তারিখে রেজিস্ট্রার অফিস খোলা না থাকায় এনএসআই অফিসার পরিচয় দিয়ে সাব- রেজিস্ট্রি অফিসারকে ম্যানেজ করে আনন্দধামের একটি গোডাউনের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আমাদের কাছ থেকে জোর করে জমি রেজিষ্ট্রী করে নেয়। বেশ কিছুদিন পর হঠাৎ তার ভগ্নিপতির চাকরীর জন্য টাকার প্রয়োজন বলে জমি ফেরৎ দিতে চান । অনেক অনুরোধে আমরা জমি ফিরিয়ে নিতে চাইলে গত ১৫/০২/২০২১ ইং তারিখে রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিল লেখক মোঃ কোরবান আলীর মাধ্যমে দলিল লিখে টাকা চায়। জমি হৃদয় ও তার স্ত্রীর নামে থাকার কারণে তার স্ত্রীকে আনতে রায়সা গ্রামে আমার এম্বুলেন্স পাঠানো হয়। তার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হঠাৎ ৪/৫ জন লোক বিকেল ৪ টার দিকে রেজিস্ট্রি অফিসে এসে দ্রæত টাকা না দিলে হৃদয়ের ভগ্নিপতির চাকুরী হবেনা বলে জোরাজুরি শুরু করেন । আমি সরল মনে ১০ লক্ষ টাকা মোঃ এস, এ হৃদয় কে দিয়ে দিই। পরে তার স্ত্রী রেজিস্ট্রি অফিসে না আসলে মোবাইলে গালাগালি করে মটর সাইকেলে চলে যায় ওনার স্ত্রীকে আনার জন্য।


পরে আর তারা রেজিস্ট্রি অফিসে না এসে আমাকে মোবাইলে জানাই আজকে আসছেনা কাল যেভাবেই হোক জমি রেজিষ্ট্রী করে দিবো। এর একদিন পরে ঐ জমি দখল নেওয়ার জন্য রাত ২টার সময় প্রাচীর দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে সেই সংবাদ পেয়ে থানাতে অভিযোগ দিলে এসআই খাইরুল সাহেব ফোর্স পাঠাইয়া তাকে ধরে নিয়ে আসে। তখন মোখিকভাবে আপোষ করে বাড়ি গেলেও পরদিন থানায় এসে টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করে। পরে রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক মোঃ কোরবান আলী ও ওবাইদুল ডাক্তার সাক্ষ্য দিলে মোঃ এস.এ হৃদয় বলে আমি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে কয়েক দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেবার কথা বলে।


এর কয়দিন পরেই টাকা না দিয়ে নানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে আপোষ নামায় স্বাক্ষর করে নেয়। ফলে গত ২৫/০৩/২০২০ইং তারিখে খরিদকৃত জমির শরিকরা আদালতে টাকা দাখিল করেন। টাকা দাখিলের মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করেন। গত ৫ তারিখে সরকার পতন হওয়ার পরপর আমি এই প্রতারণার বিষয়ে মামলা করার প্রস্তুতি নিলে মোঃ এস,এ হৃদয় টাকা না দেওয়ার জন্য তার পিতার মৃত্যুর ২৫ বছর পরে আমার নামে মিথ্যা হত্যা মামলা করে। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনাপূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করে এস এ হৃদয়ের প্রতারণার বিচার দাবী করছি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram