আলমডাঙ্গায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকল নবিসদের (এক্সট্রা-মোহরার) অবস্থান ধর্মঘট পালন
সারা দেশের ন্যায় আলমডাঙ্গায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকল নবিসদের (এক্সট্রা-মোহরার) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে। গত কয়েকদিন ধরে একটানা ধর্মঘট পালন করে আসছে বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার (নকল নবিস) এসোসিয়েশনের সদস্যরা। রোববার আলমডাঙ্গা সাব- রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন নকল নবিসরা।
তারা জানান, দেশের সেরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট এর নকল নবিস মিডওয়াইফারি নার্সদেরকেও রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন অধিদপ্তরের নকল নবিসদের বিষয়টি আজও সংশ্লিষ্ট দপ্তর আমলে নেননি। নকল নবিসরা সরকারি কোনো বেতন ভাতা পান না। সমাজের মানুষ জানে তারা সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু বাস্তবে নকল নবিসরা জমির দলিলের এক পৃষ্ঠা বালামে লেখলে মাত্র ২৪ টাকা মঞ্জুরি পায়। প্রকৃতপক্ষে এক পৃষ্ঠা বালাম লেখার জন্য জনগণের কাছ থেকে সরকার রাজস্ব নেয় ৪০ টাকা। সেখান থেকে সকল নবিসদের দেওয়া হচ্ছে ২৪ টাকা। বাকি ১৬ টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে। নকল নবিসদের টাকা দিয়েই তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা সম্ভব।
নকল নবিসদের দীর্ঘদিনের দাবি চাকরি স্থায়ী করা হোক। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার অভাবে আমরা আজও অন্ধকারেই রয়ে গেছি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মহান সংসদসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ও কর্মকর্তাগণ নকল নবিসদের চাকরি জাতীয়করণের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর বহু সরকারের পালাবাদল ঘটে। কিন্তু নকল নবিসদের খোঁজ কেউ রাখেনি। আশার আলো নিয়ে নকল নবিসরা এখনও স্বপ্ন দেখেন বর্তমান সরকারের দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গগণ নকল নবিসদের একদফা দাবি চাকরি জাতীয়করণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।
তারা আরও বলেন, আইন ও বিচার বিভাগের নিবন্ধন অধিদপ্তর দেশের ২য় বৃহত্তম রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান। এটি রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর, আমরাই জনগণের ভূমি নিবন্ধনের স্থায়ী রেকর্ড করে থাকি। অনেক আগেই নকল নবিসদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়া উচিত ছিল। অবস্থান ধর্মঘটে উপস্থিত ছিলেন উজ্জ্বল হোসেন, নাজমুল হক, সাইদুর রহমান, রওনক আক্তার, অলোকা, সুমন আলী, শাহিনুর রহমান, নুর আলী, মিজানুর রহমান, শাহিন রেজা, আব্দুল সালাম, জামাল উদ্দিন প্রমুখ।