১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রক্ত ও চোখের পানি দিয়ে জামায়াতের নাম কেউ মুছে দিতে পারবে না জেলা জামায়াতের আমীর

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ২৬, ২০২৪
70
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে জামায়াতের জেলা আমীর রুহুল আমিন বলেছেন, রক্ত ও চোখের পানি দিয়ে জামায়াতের নাম কেউ মুছে দিতে পারবে না। ডাউকি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমিন উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।


এ সময় তিনি আরও বলেন, কয়েক দফায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে স্বৈরাচার সরকার। কিন্তু নিষিদ্ধ করেও জামায়াতকে দমিয়ে রাখা যায়নি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পর কার্যত জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ সংগঠনে রুপান্তরিত করেছিল। তিনি বলেন, আমরা দেখলাম দেশে আইন আছে, আদালত আছে, সেই আইন সংশোধন করে নিজেদের মত বিচার করে, জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল কাদের ভাইকে ফাঁসি দেওয়া হল। আমরা আরো দেখলাম, জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবির আত্মগঠনমুলক কোন কর্মসূচী পালন করলে গায়েবী মামলা দিয়ে দিনের পর দিন কারাগারে আটক রেখেছিল ।

এতো অত্যাচার করেও জামায়াতকে থামানো যায়নি, কয়েকগুণ বেশি শক্তি সঞ্চার করে সাধারন মানুষের পাশে থেকেছে এই দলটি। ইসলামী ঐক্যমতের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা জামায়াতের কর্মীদের মধ্যে ভয় লোভ কাজ করে না। এজন্য জামায়াতের কর্মীদের কেউ দুর্বল করতেও পারে না। আগামীতে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের কর্মীরা হাল ধরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


তিনি আরো বলেন, সন্তান সম্ভাবা মা-বোনদের তারা কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। অনেক ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দিয়ে ১৪৪ জারী করেছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আমরা জামায়াতের কর্মীদের কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করতে চায়, এতো নির্যাতনের পরও কেউ বলেননি, আমরা আর সংগঠন করবো না। তিনি বলেন, তারা আমাদের ছেলেদের পঙ্গু করে দিয়েছে, মায়ের সামনে ছেলের চোখ উপড়িয়ে ফেলেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র মোকাদ্দেস ও ওয়ালিউল্লাহর আজও সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। গোপালগঞ্জের আইনুলের বাবা অর্ধ পাগল হয়ে গিয়েছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান বলেন, সরকার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু লুটতরাজ বন্ধ হয়নি। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রনোদনার কার্যক্রমে অনিয়ম হচ্ছে। এগুলো প্রকৃত হকদারদের মধ্যে বিতরণের দায়িত্ব জামায়াত কর্মীকে নিতে হবে।


বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমীর দারুস সালাম, গাংনী-আসমানখালী শাখার আমীর আব্বাস উদ্দিন, পৌর জামায়াতের আমীর মাহের আলী, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ইউসুফ আলী মাস্টার, আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মামুন রেজা, আলমডাঙ্গা পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মসলেম উদ্দিন, পৌর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি নুর মোহাম্মদ হুসাইন টিপু, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি প্রভাষক শফিউল আলম বকুল, ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি তরিকুল ইসলাম।


এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের উপজেলা অফিস সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক বেলাল হুসাইন, ডাউকি ইউনিয়নের সাবেক আমীর আব্দুল মান্নান, ইউনিয়ন জামায়াতের আমীরদের মধ্যে আশাদুল হক, আলমডাঙ্গা প্রচার বিভাগের সভাপতি আমান উদ্দিন, শফিউজ্জমান মিঠু, ফজলুল হক, আব্দুল আজিজ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম, পৌর শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।


ডাউকি ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারি আব্দুস সালাম উপস্থাপনায় শুক্রবার সকালে আলমডাঙ্গা শহরের জেস টাওয়ারের কমিউনিটি সেন্টারে ডাউকি ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে এ কর্মী সম্মলনের আয়োজন করা হয়। এতে ডাউকি ইউনিয়নের কয়েকশ জামায়াত কর্মী অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram