২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ ২৫ বছর পর বাবা ও ছেলেকে জবাই করে হত্যা ঘটনায় মামলা : ফা‌তেমা টাওয়া‌রের মা‌লিক প্রধান আসামী

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
অক্টোবর ২৫, ২০২৪
325
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়সা গ্রামে ২৫ বছর আগে রহিম বকস ও তাঁর ছেলে শফিউল ইসলামকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত শফিউল ইসলামের ছেলে এস এ হৃদয় বাদী হয়ে গতকাল ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গা থানা আমলী আদালতে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক মঞ্জু ও মধুপুরের বাবলুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার অহিদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাভলী নাজনীন বাদীর লিখিত অভিযোগ আমলে নেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সাক্ষীদের জবানবন্দী লিখিতভাবে রেকর্ড করেন ও আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার আসামি হিসেবে নাম উল্লেখ করা দুজন হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার খেজুরতলা গ্রামের মৃত গঞ্জের আলীর ছেলে মুঞ্জুর আলী (৫২) ও আলমডাঙ্গা উপজেলার মধুপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে বাবলুর রহমান (৫০)। মঞ্জুর আলী দীর্ঘ বছর ধরে আলমডাঙ্গা শহরে বসবাস করেন। তিনি আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক ও হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকুরী করেন।

১৯৯৯ সালের ১৬ জানুয়ারি এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন যে, আসামিরা এলাকার চরমপন্থীদলের সদস্য। শফিউল ইসলাম ছিলেন রায়সা জামে মসজিদের ইমাম এবং তাঁর বাবা রহিম বকস প্রামাণিক এলাকার ধনাঢ্য ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

এজাহারনামীয় দুই আসামি ঘটনার কয়েক মাস আগে বাবা–ছেলের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা ১৯৯৯ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে তারাবিহর নামাজের ইমামতি করা অবস্থায় সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে যান এবং হাত-পা বেঁধে ফেলেন। এক পর্যায়ে এজাহারনামীয় দুই আসামি শফিউলকে বাড়ির উঠানেই প্রথমে গুলি করে ও পরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে। ওই সময় রহিম বকস প্রামাণিক এগিয়ে এলে তাঁকেও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর সব আসামি অবৈধ বন্দুক থেকে ফাঁকা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। যা নিয়ে ওই সময় স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সময় বাদী এস,এ হৃদয় তখন ১০ বছরের শিশু । নিজের চোখের সামনে পিতা ও দাদার নৃশংস হত্যাকান্ড প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি।

দীর্ঘ ২ যুগের অধিক সময় অতিক্রান্তের পর মামলা করার কারণ প্রসঙ্গে বাদী এস এ হৃদয় উল্লেখ করেছেন যে , পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় বাদী এবং তাঁর পরিবারের লোকজন এত দিন মামলা করতে সাহস পাননি। বাদী ও তার পরিবার এতদিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। সে কারণে মামলা করতে বিলম্ব হলো। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে দেশে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকায় বাদী বিচারের আশায় মামলা করছেন।

এদিকে,
মামলার বাদীকে সব রকম আইনি সহায়তা প্রদান ও বিচার প্রার্থীর পাশে থেকে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য লড়াই করবেন মানবতা ফাউন্ডেশনের প্যানেল আইনজীবীবৃন্দ। এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram