স্বামীর পরকীয়ায় ঘটনা জানতে পেরে আলমডাঙ্গায় দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা

নিজের বড় বোনের সাথে স্বামীর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় অভিমানে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন আলমডাঙ্গার রায়সা গ্রামের দুই সন্তানের জননী শিখা খাতুন। শুক্রবার দিনগত রাতে শোবার ঘরের আড়াই গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত শিখা খাতুন (৩০) রায়সা গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসী হারুন আলীর স্ত্রী। তাদের প্রায় ১৩ আগে বিয়ে হয়। তাদের ১২ বছরের একটি মেয়ে ও ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, হারুন আলীর সংসারে স্ত্রী সন্তান থাকলেও তিনি স্ত্রীর বড় বোন জোসনা খাতুনের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। মালয়েশিয়া থেকে হারুন রাত-বিরেতে মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে স্ত্রীর বড় বোন জোসনার সাথে কথা বলতেন। হোয়াটসঅ্যাপে তারা একে অপরের শরীর দেখাদেখিও করতেন। দীর্ঘদিন এসব কুকর্ম গোপনে চললেও সম্প্রতি স্বামী ও আপন বোনের পরকীয়ার ঘটনা শিখা খাতুনের নজরে আসে। বোনের মোবাইলের ভিডিও কলের দৃশ্যও তিনি নিজ চোখে দেখেন। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে শিখার সাথে স্বামী হারুনের অন্তঃকলহ চলছিল।
শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এ ঘটনায় তীব্র বাকবিতান্ডা হয়। বিতন্ডা শেষে ছেলেকে নিয়ে শিখা বিছানায় যান। ছেলে ঘুমিয়ে পড়লে গভীররাতে শিখা গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে তার আত্মহত্যার ঘটনা জানতে পারে পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।