শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সংহতি সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সংহতি সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ অক্টোবর আলমডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণ ফাউন্ডেশন সংহতি সমাবেশ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
আলমডাঙ্গা কেন্দ্রীয় পুরাতন জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পর সংহতি সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সংহতি সমাবেশে বক্তরা বলেন, শহীদ আবরার ফাহাদ ছিলেন একটি প্রতিবাদী চেতনার নাম। দেশসেরা ক্যাম্পাসে পড়েও তিনি ছিলেন ধর্মপালনে প্রত্যয়ী একজন মানুষ। তাই তাকে ৫ বছর আগে ছাত্রলীগ পাশবিক কায়দায় নির্যাতন করে হত্যা করে। কিন্তু তাকে হত্যা করে বাংলাদেশি মুসলিম প্রতিবাদী সত্তাকে তারা বিনষ্ট করতে পারেনি। তিনি ভারতীয় বৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, ৫ বছর পর চব্বিশের বিপ্লবে এসে সেটি পূর্ণতা পেয়েছে। তার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েই লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। রক্তাক্ত জুলাইয়ে আবালবৃদ্ধবনিতা হাজার হাজার মানুষ তাদের জীবন উৎসর্গ করে নতজানু, তাঁবেদার আওয়ামী সরকারকে টেনেহিঁচড়ে গদি থেকে নামিয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা মসনদ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই শহীদ আবরার ফাহাদকে বলা যায়, জুলাই বিপ্লবের ভিত্তি স্থাপনকারী।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্মম নির্যাতনে শহীদ হন আবরার ফাহাদ। বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবরার। কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের পাশে আবরার ফাহাদের বাড়ি। বাবা বরকত উল্লাহ ও মা রোকেয়া খাতুন। একমাত্র ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সংহতি সমাবেশ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আক্তারুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, নাজমুস সালেহীন, আরাফাত, মীর শান্ত, রাব্বি, রাতুল, সাব্বির, রুহুল, শামীম প্রমুখ।