আলমডাঙ্গার নওদা পাঁচলিয়া গ্রামের অত্যন্ত জনপ্রিয় মিলু মিয়া ওরফে ছোট মিয়া আর নেই
আলমডাঙ্গার নওদা পাঁচলিয়া গ্রামের অত্যন্ত জনপ্রিয় মিলু মিয়া ওরফে ছোট মিয়া আর নেই ( ইন্না ইল্লাহি -- রাজিউন)। তিনি আলমডাঙ্গার সাংবাদিক রহমান মুকুলের ছোট ভাই।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে আলমডাঙ্গা শেফা ক্লিনিকে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে কুষ্টিয়া নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নওদা পাঁচলিয়া গ্রামের প্রয়াত আওলাদ হোসেন মিয়ার ছোট ছেলে হাসিবুল হাসান মিলু। বাপের মত অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়ায় এলাকার মানুষ তাঁকে " মিলু মিয়া"/ " ছোট মিয়া" নামেই ডাকতেন। মিয়াচিত আচরণের জন্য অনেকে তাঁকে "শেষ মিয়া" নামেও অভিহিত করতেন।
তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সাত পাঁচলিয়াসহ আশপাশের মানুষকে শোকার্ত অনুভূতি প্রকাশ করতে দেখা যায়। বেদনার্ত হৃদয় নিয়ে তারা ছুটে যান তাদের " ছোট মিয়া" / " মিলু মিয়া" কে শেষ বারের মত দেখতে। ভোর থেকে শুরু হয় এলাকাবাসি ও আত্মীয় স্বজনের কাফেলা।
বাদ জোহর জানাযার নামাজ শেষে তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
প্রয়াত আওলাদ হোসেন মিয়ার ৫ সন্তানের মধ্যে মিলু মিয়া ছিলেন সকলের ছোট। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, ভাই-বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ছোট মিয়ার জানাযায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে। একজন সাধারণ মানুষের জানাযায় এত মানুষের সমাগম ছিল অকল্পনীয়। জানাযায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিলু মিয়ার বড় ভাই আমজাদ হোসেন, জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির ডাক্তার আব্দুল্লাহ আলম মামুন, আলমডাঙ্গা পৌর জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি নূর মোহাম্মদ হোসাইন টিপু, আলমডাঙ্গা এরশাদপুর একাডেমির প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক শামীম, সহকারি প্রধান শিক্ষক মীর তানজিল আরেফিন, শিক্ষক আমজাদ হোসেন, আশিকুজ্জামান স্বপন, মহাবুল হক, মিজানুর রহমান, মাওলানা শিক্ষক এসএম মিরাজ, আলমডাঙ্গার সিনিয়র সাংবাদির খন্দকার শাহ আলম মন্টু, খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম, ফিরোজ ইফতেখার, সাংবাদিক এমদাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম রোকন, নাহিদ হাসান, নাজমুল হক শাওন, আলমডাঙ্গার ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জালাল, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম অপু মোল্লা, রাকিবুল ইসলাম তুহিন, আলমডাঙ্গা সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক রহিদুল ইসলাম, মহাসিন কামাল, আলমডাঙ্গা পৌরসভার স্টাফ আব্দুর জব্বার লিপু, ইউপি সদস্য রাজিবুল ইসলামসহ আলমডাঙ্গা শহরের ব্যবসায়ী, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও এলাকার গন্যমান্য ও সাধারন জনতা। জানাযা পরিচালনা করেন মাওলানা নূর ইসলাম।
মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে মেজো ভাই রহমান মুকুল সকলের নিকট দু আ চেয়েছেন।
এদিকে, মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন দৈনিক মাথাভাঙ্গা পরিবার ও আলমডাঙ্গার সাংবাদিক সমাজ। অনুরূপ শোক প্রকাশ করেছেন আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন।