জীবন বাঁচানোর অনুরোধ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন রামদিয়ার বিএনপি নেতা আনসার আলী
"দীর্ঘ বছর বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছি। আওয়ামিলীগের ১৬ বছরে অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। কিন্ত রামদিয়ার আওয়ামীলীগের ক্যাডাররা এখনও তাদের রামরজত্ব ধরে রেখেছে। দিনের বেলায় প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করছে। আমার ভাতিজা মাসেমকে আওয়ামী ক্যাডাররা কুপিয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় ফেলে রেখে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাকেও মেরে ফেলতে পারে। সাংবাদিকদের সামনে বলে যাই আমি মারা গেলে যেন আমার সন্তান তার বাবা হত্যার বিচার পায়।"
জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে জীবন হারানোর ভয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গার রামদিয়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ বিএনপি নেতা আনসার আলী জোয়ার্দ্দার। গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি জানান, রামদিয়া গ্রামের বিশারত আলীর ছেলে আহম্মদ আলী, ইদ্রিস আলীর ছেলে হালিম, সেলিম, খাইবার আলীর ছেলে পল্টু, বাদলে ছেলে লাল্টু, মকবুলের ছেলে মোশারেফ, মুকছারের ছেলে চিকু আলী রাসেল ও দূর্জয়। এরা সবাই আওয়ামী সন্ত্রাসী। এরা দীর্ঘ বছর তার ( আনসার আলী জোয়ার্দ্দার) বসতবাড়িসহ তার ভাতিজার ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। আনসারসহ তার পরিবারের লোকজন তাদেরকে ( প্রতিপক্ষ) আনসার আলীদের ক্রয়কৃত জমি ছেড়ে দিতে বললে তারা তাকে জীবননাশের হুমকি দেয়। ১১ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টার সময় আনসার আলীর ভাতিজা মাসেম আলী ও নাতী সুয়া আলম রাকিব মাঠ ধান রোপণ করে বাড়ী ফেরার পথে আসামীরা শাবল, লোহার রড় ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। আমার ভাতিজা রাস্তার উপর পড়ে গেলে রডের আঘাতে পা ভেঙে যায়।
আমার নাতি রাকিব তার পিতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে লোহার রড দিয়ে তাকেও পেটাতে থাকে। তার ডান হাত ভেঙে যায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে রক্তাক্ত জখম ভাতিজা ও নাতিকে উদ্ধারও করতে পারননি আনসার আলী। পরে সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিবারের লোকজন মিলে ভাতিজা ও নাতিকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। পরে আনসার আলীর ভাতিজা ও নাতির উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করলে কুষ্টিয়া ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী আনসার আলী জোয়ার্দ্দার নিজেদের জীবন বাঁচাতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।