মোবাইল কিনে না দেওয়ায় ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা
মোবাইল কিনে না দেওয়ায় পিতা-মাতার উপর অভিমান করে ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টার দিকে নিজ ঘরে গলায় উড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে শিক্ষার্থীর পিতা।
জানাগেছে, উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া খাতুন (১৪)। পাইকপাড়া জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ শ্রেনীর ছাত্রী। সাদিয়া খাতুনের পিতা-মাতার নিকট সম্প্রতি মোবাইল কিনে দিতে বলে। সাদিয়ার পিতা সাইদুল দরিদ্র মানুষ। মোবাইল কিনে দিতে পারেনি। পিতা-মাতার উপর অভিমান করে গলায় উড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রতিবেশি এক নারী সাইদুলের ঘরের জানালা দিয়ে দেখতে পায় তার মেয়ে সাদিয়া গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে সাদিয়াকে উদ্ধার করে ডাক্তারের নিকট নিয়ে গেলে মৃত্যু বলে ঘোষনা করে।
ইউপি সদস্য মারফুল ইসলাম জানান, সাদিয়া খাতুন জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। মোবাইল কিনে না দেওয়ায় পিতা-মাতার উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়ার নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান।