আলমডাঙ্গায় জিকে সেচ প্রকল্পের খালের পাড় ভেঙ্গে চার গ্রামে হাজার একর ফসলি জমি প্লাবিত
চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গায় জিকে সেচ প্রকল্পের ইরিগেশন খালের পাড় ভেঙ্গে চার গ্রামে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। প্রচন্ড পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া পাটের জাগ উদ্ধার করতে গিয়ে দাদা-নাতি গুরুতর আহত হয়েছেন। খালের প্রায় একই স্থানে গত তিন বছর ভেঙ্গে কয়েক গ্রামের ফসলি মাঠ ভেসে গেলেও কর্তৃপক্ষ নেয়নি টেকসই পদক্ষেপ। এ নিয়ে এলাকাবাসি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলার কেদারনগর ও কাশিপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের ইরিগেশন খাল ( টি-৩ জি)। আট কপাট থেকে ওই খালের ৪ টি ¯øুইচ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে খাল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে খাল টইটম্বুর হতে থাকে।
৪ সেপ্টেম্বন সন্ধ্যায় প্রচন্ড পানির চাপে কেদারনগর গ্রামের ভেতর খালের এক পাড় ভেঙ্গে যায়। প্রচন্ড পানির তোড়ে প্রায় ৫০ ফিট পাড় ভেঙ্গে চারটি মাঠের বিস্তৃর্ণ ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে। বেলগাছি, পোয়ামারি, খেজুরতলা ও কেদারনগর গ্রামের মাঠের ধান তলিয়ে গেছে। পাটের জমি জলমগ্ন। ভেসে গেছে শ শ কৃষকের জমির সোমত্ত হয়ে উঠা ধানক্ষেত। নিরুপায় কৃষক চোখের সামনে দেখছেন তাদের স্বপ্নের ফসল ঢুবে যাওয়ার নিদারুণ দৃশ্য। ভেসে যাচ্ছে পাটক্ষেত। জাগ দেওয়া পাট পানির প্রচন্ড তোড়ে ভেসে গেছে। ভেসে যাওয়া পাট উদ্ধার করতে গিয়ে পানির তোড়ে কেদারনগর গ্রামের আরোজ আলী ও নাতি জীবন মারাত্মক আহত হয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
প্রায় একই স্থানে পর পর তিন বছর পাড় ভাঙ্গছে। অথচ, কর্তৃপক্ষ টেকসই মেরামত করেন নি। দায়সারা গোচের কাজ করে থাকে। এমন অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা জানতে চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদের সাথে মোবাইলফোনে কথা বললে তিনি জানান, জিকে সেচ প্রকল্পের আলমডাঙ্গা কেদারনগরের ভাঙ্গা ক্যানেলের স্থান পরিদর্শন করেছি। আর প্লাবিত হওযার সম্ভবনা নেই। আলমডাঙ্গার আট কপাটের সুইচ গেইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দ্রæত ভাঙ্গা অংশ সংস্কার করা হবে।