আওয়ামী লীগ নেতারা চাপ দিয়ে তাদের সাথে মিশতে বাধ্য করেছিল বিএনপি নেতা দুলাল বিশ্বাস
সংবাদ সম্মেলন করে আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া গ্রামের বিএনপি নেতা দুলাল বিশ্বাস জানালেন তাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপে তাদের সাথে বেড়াতে বাধ্য হতেন। গতকাল ১ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে আমির হোসেন বিশ্বাস দুলাল লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি নাসির উদ্দীন বিশ্বাসের ভাই। তাছাড়া, তিনি কালিদাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মৃত কুদরত আলী বিশ্বাসের ছেলে। অ্যাডভ্যান্স পোল্ট্রি ফিডস এন্ড হ্যাচারির মালিক তিনি। পারিবারিকভাবেই তারা ওই এলাকায় বিএনপির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সে কারনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি ও তার পরিবার।
তিনি এখন স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাহুমুক্ত হয়ে বিএনপির একজন সমর্থক হিসেবে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চান। তার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নানা অত্যাচারেরও বিচার দাবি করেন।
তার ভাই বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দীন বিশ্বাস আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত সরকারের পাতানো শেষ জাতীয় নির্বাচনে কালিদাসপুর ইউনিয়নের স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা তার ওপর নানান অত্যাচার শুরু করে। তারা অ্যাডভান্স পোল্টি ফিড এন্ড হ্যাচারীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একের পর এক চাঁদা দাবি করতে থাকে। তিনি জানান, তার হ্যাচারীতে কর্মরত সকল কর্মচারীর বাড়িতে গিয়ে গিয়ে কাজে যোগ দিতে বাঁধা দিতে থাকে। অত্যাচার নিপীড়নের এক পর্যায়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাকে তাদের দলের সাথে মিশতে বাধ্য করে।
তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, আগামী দিনগুলোতে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে দলের সকল কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চান।