আলমডাঙ্গা ডাউকি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে মেম্বররা
আলমডাঙ্গা ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ১ মানোয়ার হোসেন ওল্টুর বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়ে পরিষদের অন্যান্য ১১ ইউপি সদস্য। এর আগে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ২ ও ৩ পদত্যাগ করেছে। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাসের নিকট প্যানেল চেয়ারম্যান ১ বিরুদ্ধে অনাস্থা ও ২ এবং ৩ প্যানেল চেয়ারম্যানের পদত্যাগ পত্র জমা দেন সদস্যরা।
জানাগেছে, গত ১৫ জুলাই ২০২২ সালে মাসিক মিটিংয়ে ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়। ডাউকি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানোয়ার হোসেন ওল্টুকে প্যানেল চেয়ারম্যান ১, ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লাবলুর রহমানকে প্যানেল চেয়ারম্যান ২ ও ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নার্ছিমা খাতুনকে প্যানেল চেয়ারম্যান ৩ করা হয়।
ডাউকি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যূত্থানে সরকার পালিয়ে যায়। এরপর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম পরিষদে আসেন না।
দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন ওল্টুসহ ৩জনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অর্ভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে কথা বলার জন্য গত ২৭ আগস্ট ৯ জন ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হন। এসময় প্যানেল চেয়ারম্যান ২ ও ৩ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এসময় মানোয়ার হোসেন ওল্টু তার লোকজন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে গোলযোগের সৃষ্টি করে।
এঘটনার পর ১১জন ইউপি সদস্য একত্র হয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন ওল্টুর বিরুদ্ধে অনাস্থা পত্রে স্বাক্ষর করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ১১ জন ইউপি সদস্যের পক্ষ থেকে বদর উদ্দিন মালিথা ও বুলবুল সিরাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাসের নিকট প্যানেল চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন ওল্টুর বিরুদ্ধে অনাস্থা এবং ২ ও ৩ প্যানেল চেয়ারম্যানের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন।