বিএনপি ও বিদ্রাহী গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় আলমডাঙ্গা অশান্ত হয়ে উঠে
বিএনপি ও বিদ্রাহী গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় আলমডাঙ্গা অশান্ত হয়ে উঠে। বেলগাছী ইউনিয়নের আহত দুই বিএনপি নেতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর অবর্ণনীয় অত্যাচার, মামলা হামলা, গুলি, গুমের পরও বিএনপির আভ্যন্তরিণ কোন্দল ও মারামারির ঘটনায় শহরবাসী স্তম্ভিত। উঠেছে নিন্দার ঝড়।
জানা গেছে, গতকাল ১৬ আগস্ট বিকেলে আলমডাঙ্গার বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে আলমডাঙ্গা বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপ। বর্তমান বিএনপির কমিটি কর্তৃক কুমারী বাজারে অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পৃথক দুই কর্মসূচি ঘিরে স্ব স্ব নেতাকর্মী একত্রিত হন। দুপুরের দিকে বর্তমান বিএনপি কমিটির নেতাকর্মিরা বেলগাছি ইউনিয়নে মোটরসাইকেল শো-ডাউন করে কুমারী ইউনিয়নে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে তারা বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি আয়োজিত বিদ্রোহী গ্রুপের (টিলু গ্রুপ) কর্মসূচি স্থলের কিছু চেয়ার ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ তোলা হয়।
এ সংবাদ জানানো হয় বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাদের। সে সময় শহিদুল কাউনাইন টিলু ও আসিরুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতৃবৃন্দ বেলগাছি গ্রামে কর্মসূচিস্থলে যাচ্ছিলেন। হাউসপুর বেলগাছী সড়কের আটকপাট এলাকায় দুগ্রুপ মুখোমুখি হয়। দু পক্ষের নেতৃবৃন্দের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির মত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। পরে সন্ধ্যার পূর্বে শহিদুল কাউনাইন টিলুর বাড়ির নিকটবর্ত্তীতে আবার দুপক্ষের ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়।
এদিকে, এই গোলযোগ আহত হয়েছেন বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ঝন্টু মালিথা। তাকে রাতে ফাতেমা ক্লিনিক ও পরে হারদী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ঝন্টু মালিথা বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা।
অন্যদিকে আহত বেলগাছী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, দীর্ঘ ১৬ বছর অবর্ণনীয় অত্যাচার, মামলা হামলা, গুলি, গুমের পরও বিএনপির আভ্যন্তরিণ কোন্দল ও মারামারির ঘটনায় শহরবাসী স্তম্ভিত। উঠেছে নিন্দার ঝড়। এত বছরের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের পরও আলমডাঙ্গার নেতাকর্মীদের এমন চরম বালখিল্য কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষ হতাশা প্রকাশ করেছেন।