আলমডাঙ্গার কাঁঠাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচন সম্পন্ন: দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
আলমডাঙ্গার কাঁঠাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। প্যানেল বিজয়ীসহ ২য় বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হলেন অ্যাডভোকেট মোখেলেছুর রহমান। ৩১ জুলাই বুধবার সকাল দশটায় কাঁঠাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদানের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে । নির্বাচনে রেজাল্ট দেওয়ার সাথে সাথে প্রতিদ্ব›দ্বী দু' প্যানেলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় একজন মারাত্মক আহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
কাঁটাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ইমরুল হক জানান, অভিভাবকদের সরাসরি ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে কাঁঠাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়। উক্ত নির্বাচনে দুটি প্যানেলে অভিভাবক সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। চারজন অভিভাবক সদস্য ও একজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান প্যানেল বিজয়ী হয়েছে। বিজয়ী জাহাঙ্গীর হোসেন ১৩৩ ভোট, রুহুল আমিন ১২৪, ভোট সুজাউদ্দিন ১২৪ ভোট, সেলিমুজ্জামান ১১৭ ভোট, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রেহেনা খাতুন ১৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে হাবিবুর রহমান রুবেল প্যানেল পরাজিত হয়েছেন। এ পানেলে ভোট পেয়েছেন ইকরামুল হক ৯৬ ভোট, আব্দুল আল মামুন ৯৯ ভোট, টিপু সুলতান ১০১ ভোট, আবু তালেব ১০৫ ভোট ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রজিনা খাতুন ১০২ ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা ২৯৯, ভোট পোল হয়েছে ২৫৪ টি। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদুল মান্নানসহ অন্যান্য শিক্ষক। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
নির্বাচন শেষে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন। প্রতিদ্ব›দ্বী দু-প্যানেলের প্রার্থিদের মারামারিতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
নবনির্বাচিত প্যানেলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান জানান, সকাল থেকে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। রেজাল্ট দেওয়ার পর নির্বাচনের কেন্দ্র থেকে দুরে পরাজিত প্যানেলের লোকজন ইট নিক্ষেপ করে। এসময় বিজয়ী প্যানেলের ৪/৫জন সমর্থক আহত হয়।
পরাজিত প্যানেলের হাবিবুর রহমান রুবেলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার রিং দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক সুত্র জানিয়েছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় পরাজিত প্যানেলের একজন গুরুত্বর আহত হয়েছে।